ভারতের শ্রমিককেন্দ্রীক প্ল্যাটফর্ম অর্থনীতি সম্পর্কে একটি আলোচনা (প্রথম পর্ব)

25/10/2021
IiT English Page

কোভিড-19 সংকট ভারতের প্ল্যাটফর্মকর্মীদের তীব্র দুর্দশাকে সামনে নিয়ে এসেছে। এই দুরবস্থার কারণ, নিয়ন্ত্রিত কাজের সময়, নূন্যতম মজুরি, তথ্যের অধিকার এবং সামাজিক সুরক্ষার মত শ্রমের অধিকারের অনুপস্থিতি যার ফলে, তাঁদের কাজের ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতা বেড়ে গেছে। প্রধান প্রধান শহরে লকডাউন চালু হলে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে পণ্যবন্টনের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম জিনিস সংগ্রহ করে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেওয়ার বহুমুখী মাধ্যম হয়ে উঠেছে। দক্ষিণ ভারতে আমাদের গবেষণার কাজ চলাকালীন আমরা দেখতে পাই যে, মুখোশ এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মত নিরাপত্তা সংক্রান্ত সরঞ্জামগুলিকে অনেক সময়ই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের কর্মীদের নিজেদের কিনে নিতে হচ্ছে। এর সঙ্গে সঙ্গে আবার যানবাহনের জ্বালানী এবং রক্ষণাবেক্ষণের খরচও আছে। অনেক সময়ই, চিকিৎসকদের অনুমোদিত মুখ বা মাথার আচ্ছাদনের বদলে তাঁরা সাধারণ কাপড়ই অস্থায়ীভাবে ব্যবহার করছেন এবং দস্তানা পরছেন না। কোন রকম নির্দিষ্ট নীতি ও নির্দেশিকা না থাকায়, কিছু ভারতীয় প্ল্যাটফর্ম, স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকর কাজের ক্ষেত্রে মাত্র এককালীন বিমার অর্থ দেওয়ার মত ইনসেনটিভ দানের স্বেচ্ছাচারী প্রক্রিয়ার পরিকল্পনা করেছে। পরিবর্তে তারা তাদের কর্মচারীদের দিয়ে আরো বেশি সময় ধরে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। অনেকচ কর্মীই আর্থিক দিক থেকে এমনই খারাপ অবস্থায় ছিলেন যে, তাঁদের পক্ষে এই রকম কাজ ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হয় নি।       

এই রকম অশান্তির পটভূমিতে, কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ডিজিটাল সম্প্রসারণকে ব্যবহার করা নিয়ে নতুন শিল্পনীতির বিষয়ে ভারতের ভাবনাকে ব্যাখ্যা করে তৈরি বিবৃতিটিকে একমাত্র অত্যন্ত সতর্ক আশাবাদের সঙ্গেই বিশ্লেষণ করা সম্ভব। ডিজিটাল মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের কোন রকম প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এখনো তৈরি না হওয়ায় উদ্বেগ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে ভারতেই ডিজিটাল মাধ্যম নিয়ে কি ধরনের সমস্যা দেখা যায় ও শ্রমের অধিকার নিশ্চিত করতে কি জাতীয় নিয়ন্ত্রক পরিকাঠামো প্রয়োজন সেই বিষয়ে আমরা এই দুই পর্বের ধারাবাহিকে আলোচনা করব। প্রথম পর্বে, ভারতীয় প্ল্যাটফর্মকর্মীরা যে তিনটি প্রধান পরিকাঠামোগত সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন সেগুলিকে চিহ্নিত করব। দ্বিতীয় পর্বে, তথ্যের অধিকারসহ শ্রমের অধিকারের একটি সম্প্রসারিত সংকলনের জন্য প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রক পরিকাঠামো তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা কি হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।     

পরিকাঠামোর অবস্থাকে বোঝার একটি প্রচেষ্টা
নিক স্যরনিচেক, তাঁর প্ল্যাটফর্ম ক্যাপিটালিজম নামের বই-তে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে এমন এক বহুমুখী বাজার বলে ব্যাখ্যা করেছেন যা দক্ষতার সঙ্গে সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে সামঞ্জস্য আনতে, একটি সাধারণ কৌশল ব্যবহার করে পরিষেবা প্রদানকারী, উপভোক্তা, এবং শ্রমিকদের একত্রিত করে। ভারত সরকার সামাজিক নিরাপত্তা আইন বিধি ২০২০ বা কোড অফ সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীনে প্ল্যাটফর্মকর্মী ও জনসমষ্টিকে সর্বপ্রথম সংজ্ঞায়িত করেছেন। ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে, অর্থনীতির পরিকাঠামোর অবস্থার কারণে প্ল্যাটফর্মের নিজস্ব সমস্যাগুলি আরো বেড়ে যায়। ২০১৮-১৯ সালের অর্থনৈতিক সমীক্ষা থেকে জানা যায়, একটি গড়পড়তা ভারতীয় ব্যবসায়িক সংস্থা, প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছরের কম সময়ের মধ্যে যে সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করত, চার দশক পরে তার থেকে মাত্র ৪০ শতাংশ বেশি কর্মচারী নিযুক্ত করছে। দ্বিতীয় বৈশিষ্টটি হল, অতিমাত্রায় অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতা যা অসংগঠিত কর্মক্ষেত্রের অনুষঙ্গী। ইনক্লুসিভ ফিউচার অফ ওয়ার্ক (২০১৯) নামক কান্ট্রি ব্রিফ বা দেশের বিষয়ে তথ্যসংকলনে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংঘ বা ইন্টারন্যাশনাল লেবার অরগানাইজেশান (আইএলও) অনুমান করেছে যে, সপ্তাহে ৫০ ঘন্টা হিসাবে সাপ্তাহিক কাজের উচ্চহারের কারণে সাতাত্তর শতাংশ ভারতীয় বিপজ্জনক অবস্থায় আছেন। এছাড়াও, কর্মীদের মধ্যে প্রায় বিরানব্বই শতাংশই আছেন অসংগঠিত কর্মক্ষেত্রে, যেখানে কোনরকম লিখিত চুক্তি বা সামাজিক নিরাপত্তা দেওয়ার ব্যবস্থা নেই।   

এই প্রেক্ষিতে, ভারত সরকারের বৈদ্যুতিন ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক বা মিনিস্ট্রি অফ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফর্মেশন টেকনোলোজি অর্থনৈতিক উন্নতি এবং নিশ্চিত কর্মসংস্থানের উৎস হিসাবে ডিজিটাল অর্থনীতিতে বিনিয়োগকে শনাক্ত করেছেন। “ইন্ডিয়া’জ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি” নামের একটি বিবৃতি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে এই ডিজিটাল অর্থনীতি থেকে এক লক্ষ কোটি টাকার রাজস্ব ও ছয় কোটি পঞ্চাশ লক্ষ চাকরী উৎপাদন সম্ভব হবে। গিগ ইকোনমি বা স্বল্পস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক চাকরি বা স্বনির্ভর কাজের মাধ্যমে আয়কে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা অর্থনীতি নিয়ে যে জাতীয় সম্মেলনটি হয়েছিল তার প্রেক্ষিতে লিখিত ও অ্যাসোসিয়েটেড চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া দ্বারা সঙ্কলিত একটি বিবৃতি অনুযায়ী, ভারতে দেড় কোটির বেশি স্বনির্ভর কাজের পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাসহ, এই প্ল্যাটফর্মগুলি এই সমীকরণের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। অন্যান্য দেশের অনুরূপ সংস্থাগুলির মতই, ভারতের প্ল্যাটফর্মকর্মীদেরও তাঁদের কাজের উপর অ্যালগোরিদমের নিয়ন্ত্রণ ও গোষ্ঠীবদ্ধ আলোচনার সুযোগ, ন্যূনতম বেতন, নিয়ন্ত্রিত কাজের সময়ের অভাবের মত সমস্যাগুলির মোকাবিলা করতে হয়। নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে বিচার করলে দেখা যাবে যে, ভারতের প্ল্যাটফর্মকর্মীরা মূলত তিনটি পরিকাঠামোগত সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন।  

প্ল্যাটফর্মকর্মীদের সমস্যা
প্রথম সমস্যাটি প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ সংক্রান্ত। ভারতের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি সুনির্দিষ্ট ও অভিন্ন নির্দেশিকা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। অফলাইনে খুচরো কেনাবেচার দোকান যেগুলি স্থানীয় কর্মসংস্থানের উৎস সেগুলিকে নিরাপদে রাখার জন্য ভারত অনলাইন ও অফলাইনের পাশাপাশি দেশি ও বিদেশী সংগঠনের সঙ্গে যে আচরণ করে তার মধ্যেও পার্থক্য দেখা যায়। এই পার্থক্যমূলক ব্যবহারের কারণে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের উল্লম্ব একীকরণ বা ভার্টিকাল ইনটিগ্রেশান ব্যাহত হয় এবং তার ফলে মজুদের ব্যবস্থা ও ক্রেতার কাছে জিনিসপত্র আর পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার শেষ ধাপটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও এর ফলে, ছোট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অনলাইন বাজারের যোগাযোগ তৈরি হতে দেরি হচ্ছে। ব্যাক-এন্ড পরিকাঠামো, কর্মসংস্থান, স্থানীয় জোগানদার এবং তথ্যের সুরক্ষায় বিনিয়োগের কথা মাথায় রেখে নিয়ন্ত্রণের সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে এমন একটি ক্ষেত্র তৈরি হতে পারে যেখানে সমতা থাকবে এবং প্রতিটি আচরণের দায়িত্ব নিতে হবে। এইভাবেই ডিজিটাল অর্থনীতির বিকাশ ও উন্নয়ন সম্ভব। জাতীয় ই-কমার্স নীতি ২০১৯ নামক আইনটি একটি সঠিক পদক্ষেপ। কিন্তু তার পাশাপাশি ভারতকে কল্পনাশক্তি প্রয়োগ করে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দেরও যুক্ত করতে হবে। তার সঙ্গে সঙ্গে দেশী ব্যবসায়িক উদ্যোক্তা ও স্থানীয় স্বার্থেকেও সুরক্ষিত করতে হবে।     

দ্বিতীয় সমস্যাটি শ্রমিকদের দক্ষতা। আইএলও-র “ওয়ার্ল্ড এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল আউটলুক ২০২১” নামের বিবৃতি অনুযায়ী, বিশ্বের কুড়ি শতাংশ হিস্যাসহ ভারতকে প্ল্যাটফর্মকর্মীদের বৃহত্তম জোগানদার হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উন্নত অর্থনীতির দেশগুলি থেকে আসা কাজে যুক্ত কর্মীরা সফটওয়্যার ও মাল্টিমিডিয়া ক্ষেত্রে ডেটা এন্ট্রি এবং সাধারণ পেশাদারী পরিষেবার মত করণিকের কাজ করেন। এই কাজগুলির জন্য স্বল্প দক্ষতার প্রয়োজন এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা এগুলিরই সবচেয়ে বেশি। যে কাজগুলি বাইরে থেকে আসছে না, সেগুলির ক্ষেত্রে অধিকাংশ প্ল্যাটফর্মকর্মীরা ট্যাক্সি চালানো ও ক্রেতাকে জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়ার মত কাজের সঙ্গে যুক্ত। আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের শ্রমের ক্ষেত্রে মহিলাদের হার সমানভাবে কম। তা দেখা যায় অনলাইন ওয়েবকেন্দ্রীক প্ল্যাটফর্মের কাজ এবং লেখা ও অনুবাদের মত যে কাজগুলিতে মহিলাকর্মীদের আধিপত্য বেশী, সেগুলি সহ সমস্ত ধরনের পেশাতেই। স্পষ্টতই, যদি পক্ষপাতশূন্য, ভালো বেতন ও নিরাপত্তাসহ চাকরীর সুযোগের উৎস হিসাবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে এগিয়ে চলতে হয়, তবে, মহিলাকর্মী সহ নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর উপর লক্ষ্য রেখে কর্মীদের দক্ষতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা আশু প্রয়োজন। ভারতকে উচ্চ মানের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলির সুবিধা নিতে হলে আরো দক্ষ কর্মী তৈরি করা এবং কর্মরত ব্যক্তিদের দক্ষতা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি পেশা সংক্রান্ত পরামর্শ ও পথপ্রদর্শনের বন্দোবস্ত করার মত বিষয়ে বেসরকারী সংস্থাগুলির অংশগ্রহণ অনিবার্য।

তৃতীয় বিষয়টি সামাজিক সুরক্ষা। সম্প্রতি ভারত উপস্থিত চুয়াল্লিশটি শ্রম আইন কমিয়ে চারটি শ্রম বিধি তৈরি করেছে। এই চারটির মধ্যে সামাজিক সুরক্ষা আইন বিধি ২০২০ বা কোড অন সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০২০ প্ল্যাটফর্মে কাজ করাকে জীবিকা অর্জনের একটি উপায় বলে চিহ্নিত করে। এছাড়াও এই বিধি প্ল্যাটফর্মগুলিকে তাদের বার্ষিক আয়ের এক থেকে দুই শতাংশ বা বেতনের পাঁচ শতাংশ (যেটি পরিমাণে কম হবে) অর্থ কর্মীদের জন্য সরকারের চালু করা সামাজিক সুরক্ষা তহবিলে দান করতে আহ্বান করে। তবে, লক্ষ্মী শর্মা তাঁর “এ সিকিওর ফিউচার ফর প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্কারস” নামের প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, বন্টন প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোন স্পষ্টতা ছাড়াই এই প্রস্তাবিত আইনটি সামাজিক সুরক্ষাকে প্ল্যাটফর্মভিত্তিক ব্যবসায়িক সংস্থা ও জাতীয় সরকারের মধ্যে ভাগ করে দেয়। এর পাশাপাশি, প্ল্যাটফর্ম সংস্থাগুলি সম্ভাব্য কর্মীদের অগ্রীম টাকা ধার হিসাবে দেয় যাতে তাঁরা প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে জড়িত সম্পদে বিনিয়োগ করতে পারেন। এর ফলে, পরে ওই কর্মীরা ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েন। প্ল্যাটফর্ম নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়াকে তাই বুঝতে হবে যে, সামাজিক সুরক্ষা এবং অগ্রীম ধার দেওয়ার বিষয়টি আসলে একই সূত্রে বাঁধা।  

ভারতীয় অর্থনীতিতে যে পরিকাঠামোগত বদল শুরু হয়েছে তার এই সন্ধিক্ষণে, প্ল্যাটফর্মের বিষয়ে বৃহত্তর প্রশ্নটি হল, আমরা কি ধরনের বিকাশ এবং কোন জাতীয় চাকরীর প্রতি লক্ষ্য রাখছি? ক্রমবর্ধমান মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণীর চাহিদা পূরণের পাশাপাশি প্ল্যাটফর্ম কি নাগরিক ক্ষেত্রে দরিদ্রদের জন্য ভালো মানের কাজের সুযোগ তৈরি করতে পারবে? এই প্রশ্নগুলির উত্তর সদর্থক হলে, বিনিয়োগ নিয়ন্ত্রণ, বেসরকারী সংস্থার হাতে কর্মীদের দক্ষতা বিকাশের দায়িত্ব তুলে দেওয়া এবং ঋণ ও সামাজিক সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে শ্রমের অধিকার সুরক্ষিত করার মত বিষয়গুলি সম্ভব হবে। 

ফ্রান্সিস কুরিয়াকোজ

Author

ফ্রান্সিস কুরিয়াকোজ ভারতের কোয়েম্বাটোরে অবস্থিত ভারথিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কুমারাগুরু কলেজ অফ লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের সহকারী অধ্যাপক এবং ইউকে-র কেমব্রিজ ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের উপদেষ্টা।

(Bangla Translation by Sritama Halder)
অনুবাদঃ শ্রীতমা হালদার

দীপা কৈলাসম আইয়ার

Author

দীপা কৈলাসম আইয়ার কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমব্রিজ-ট্রাস্ট কমনওয়েলথ স্কলার।

(Bangla Translation by Sritama Halder)
অনুবাদঃ শ্রীতমা হালদার