ভারতের শ্রমিককেন্দ্রিক প্ল্যাটফর্ম অর্থনীতি সম্পর্কে একটি আলোচনা (দ্বিতীয় পর্ব)

08/11/2021
IiT English Page

কোরোনাভাইরাস অতিমারীর প্রথম ঢেউ চলাকালীন ভারতীয় অর্থনীতি প্রায় পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে পড়ে। এই সময়ই কর্মীদের মধ্যে বিক্ষোভ শুরু হওয়ায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে অশান্তি দেখা দেয়। ভোক্তাকে খাবার পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্যুইগির মত যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি আছে সেগুলির কর্মীদের মধ্যে বিক্ষোভ তৈরি হয়। এই বিক্ষোভের কারণ মূলত ছিল ক্রমাগত বেতন এবং মাসিক ভাতা হ্রাস এমন একটা সময়ে যখন তাঁরা তাঁদের জীবন বিপন্ন করে এবং টহলদার পুলিসের জুলুম সহ্য করেও সংক্রমণপ্রবণ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের ভোক্তাদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে বাধ্য হচ্ছিলেন। যাতায়াত প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে গাড়ির চাহিদা যখন দ্রূতবেগে পড়ে যাচ্ছে তখন গাড়ি ভাড়া করার জন্য ব্যবহৃত ওলা ও উবের অ্যাপের গাড়িচালকরা কর্তৃপক্ষ তাঁদের কাছ থেকে যে অতিরিক্ত দস্তুরি নিয়ে থাকেন তা কমানোর দাবি জানান। অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্টের মত বাড়ি বসে জিনিস কেনা ও সেগুলি ক্রেতাকে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে যে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলি সেগুলির মধ্যে বড় ব্যবসা ও পাইকারি বিক্রেতাদের অগ্রাধিকার দেওয়ার যে প্রতিযোগিতা বিরোধী অবস্থান দেখা যায়, ওই প্ল্যাটফর্মগুলির সঙ্গে যুক্ত ছোট বিক্রেতা ও ভেন্ডাররা তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন।  আন্দোলন চলাকালীন কর্মীরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার মুখোমুখি হন। ভারতে শ্রম অধিকারের কোন স্পষ্ট রূপরেখা ও তথ্য সুরক্ষা ব্যবস্থার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে প্ল্যাটফর্ম কর্তৃপক্ষ কর্মীদের অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করে দেন। এই নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক ব্যর্থতা এবং প্ল্যাটফর্মকর্মীদের তথ্যের অধিকার সহ কর্মক্ষেত্রের অন্যান্য অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একটি প্রাতিষ্ঠানিক পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা নিয়ে আমরা এখানে আলোচনা করব।

শ্রমিক যৌথের দাবি
অতিমারীর ফলে অনিবার্যভাবে ভারতীয় প্ল্যাটফর্মকর্মীদের হাতে শ্রমের অধিকার সংগঠিত করার ও সেই অধিকারের জন্য দাবি জানানোর সুযোগ আসে। এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটে নি। অন্যান্য দেশে তাঁদের পরিপূরক গোষ্ঠীগুলির মতই, ভারতীয় প্ল্যাটফর্মকর্মীরাও সোশ্যাল মিডিয়াকে (যেমন, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ) অনেকে মিলে আলোচনার জায়গা হিসাবে ব্যবহার করতে শুরু করেন। এখানে শ্রমিকরা যে সমস্ত সমস্যার মুখোমুখি হয়ে থাকেন তা নিয়ে আলোচনা চলে যার ফলশ্রূতি দেশ জুড়ে শহরে শহরে সংঘটিত আন্দোলন, প্রতিবাদ ও ধর্মঘট (যেমন, স্যুইগি সাময়িকভাবে ধর্মঘটে সামিল কর্মীদের বরখাস্ত করে)। শ্রম অধিকার নিয়ে শর্তাবলী আরোপ করার সাংগঠনিক মাধ্যম হিসাবে শ্রমিক যৌথগুলি উঠে আসে। দ্য ইন্ডিয়ান ফেডারেশান অফ অ্যাপ-বেসড ট্র্যান্সপোর্ট ওয়ার্কার (আইএফএটি) যাতায়াতের গাড়ি ভাড়া করার অ্যাপে কর্মরত গাড়িচালক ও ক্রেতাকে জিনিস পৌঁছে দেন যাঁরা তাঁদের সংগঠিত করে। লকডাউন চলাকালীন ভারতের পঞ্চাশটি শহরে প্ল্যাটফর্মকর্মীদের নিয়ে চারটি আলাদা আলাদা সমীক্ষা করার পর আইএফএটি জানায় যে, নব্বই শতাংশ কর্মী তাঁদের প্রয়োজনীয় খাদ্যের ব্যাপারে কোন সহায়তা পান নি এবং প্রায় পঁচাশি শতাংশ কর্মী কর্মহীন অবস্থায় কোনরকম সামাজিক সুরক্ষা পান নি ও অর্ধেকের বেশি কর্মীর গাড়ি কেনার ঋণ সংক্রান্ত ধারের জালে জড়িত। এই সময়ে আইএফএটি বেকার প্ল্যাটফর্মকর্মীদের ত্রাণের ব্যবস্থা করতে ও মহিলা গাড়িচালকদের সহায়তা দানে নিযুক্ত ছিল।      

অল ইন্ডিয়া গিগ ওয়ার্কারস’ ইউনিয়ন (এআইজিডাবলইউইউ), প্ল্যাটফর্মকর্মী ও গিগ বা স্বল্পস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক চাকরি ও স্বনির্ভর কাজের মাধ্যমে রোজগার করেন যাঁরা তাঁদের নিয়ে গড়ে ওঠা একটি অনিবন্ধীকৃত পৃষ্টপোষক সংস্থাও সক্রিয় হয়ে ওঠে। এই সংস্থা এই স্বতঃস্ফূর্ত বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে প্ল্যাটফর্মকর্মীদের দাবিগুলিকে সুশৃঙ্খলভাবে বিন্যস্ত করেছে, রাজ্যস্তরের কর্মীসঙ্ঘগুলির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেছে, বর্তমান অবস্থা নিয়ে সচেতনতা বাড়িয়ে চলেছে এবং অন্যান্য শ্রমিক যৌথের সঙ্গে জোট বাঁধছে। এছাড়াও, এআইজিডাবলইউইউ কোঅর্ডিনেশান কমিটি বা সমন্বয়সাধন পরিষদ, মিনিস্ট্রি অফ লেবার অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট বা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের কাছে একটি আনুষ্ঠানিক স্মারকলিপি দাখিল করেছে। সংস্থাটি এই লিপিতে এমন একটি সার্বজনীন সামাজিক সুরক্ষার দাবি জানিয়েছে যাতে সামাজিক সুরক্ষায় মালিকের অবদানের দায়িত্ব স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা থাকবে। কর্মচারীদের প্রতিনিধিত্ব ও কর্মীদের তথ্য সুরক্ষার কথাও আলোচ্য বিষয়সূচিতে উল্লেখ করা হয়েছে।  

প্ল্যাটফর্মকর্মীদের তথ্যের অধিকার
ফলস্বরূপ, ২০২১ সালের ইউনিয়ন বাজেটে প্ল্যাটফর্ম ও গিগকর্মীরা যে ধরনের সমস্যা ও অসহায়তার সম্মুখীন হন সেগুলিকে সংক্ষেপে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। প্ল্যাটফর্ম আর গিগকর্মীরা ন্যূনতম বেতন পাওয়ার অধিকারী ছিলেন। এমপ্লয়ি স্টেট ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশান এই বেতন দেওয়ার দায়িত্বে ছিল। দ্বিতীয়ত, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, জীবনবীমা, ঋণ পাওয়ার সুযোগ এবং খাদ্যে ভর্তুকি জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য নির্ভর নীতি নির্মাণের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে গিগ আর অসংগঠিত কর্মীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করার একটি পোর্টাল চালু করার কথাও ভাবা হয়েছিল। কিন্তু এই কর্মসূচির লক্ষ্য সীমাবদ্ধ হওয়ায় তা প্ল্যাটফর্মকর্মীদের তথ্যের অধিকারের বিষয়টিকে ঘিরে শ্রমিকদের সার্বিক অধিকার নিয়ে আলোচনার সূচনা করতে ব্যর্থ হয়। 

প্ল্যাটফর্মকর্মীদের অধিকার বিষয়ে একটি অখণ্ড পন্থার প্রচলন সম্ভব করতে, প্ল্যাটফর্মগুলি যে নতুন ধরনের শ্রম পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি চালু করেছে তাকে বোঝা জরুরী। কাজের মাইক্রো-লগিং ও সম্পদের সঙ্গে কাজের সম্পর্কে পরিবর্তন এনে অতি-ব্যক্তিস্বাতন্ত্র আরোপ করার মত পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে কাজের অ্যালগোরিদমকেন্দ্রিক নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগ করে প্ল্যাটফর্মগুলি ঠিক কোন উপায়ে তাঁদের কর্মীরা যে মূল্য উৎপাদন করেন তাকে হস্তগত করে সে বিষয়ে আমাদের গবেষণামূলক প্রবন্ধ, “ডিজিটাল ওয়ার্কার, আর্বান ভেক্টর অ্যান্ড নিউ ইকোনমিজ”-এ আমরা আলোচনা করেছি। এছাড়াও, কর্মীদের উপর ক্রমাগত নজরদারি চালিয়ে, তাঁদের না জানিয়ে ও অনুমতি ছাড়াই কাজের নিয়মিত সীমার বাইরেও তাঁদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করা হয়। গুণমানের সাফল্যাঙ্ক যোগ করার মত অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মীর কর্মক্ষমতা ও পুরস্কার হিসাব করা এবং স্বউৎপাদিত অ্যালগোরিদমের দ্বারা কর্মস্থানকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। তাই এই ক্ষেত্রে, যে চিরাচরিত পন্থায় কর্মীদের সংঘবদ্ধ করা ও অধিকার সংক্রান্ত নানা দাবি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয় তা যথেষ্ট নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে, মালিকপক্ষ ঠিক কি পরিমাণে তথ্য ব্যবহার করতে পারবেন তার সীমানার ধারণা নির্ণয় ও প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।    

ইউরোপীয় ইউনিয়নের জেনারেল ডেটা প্রোটেকশান রেগুলেশানের উদাহরণটি যেমন ইঙ্গিত দেয়, সুরক্ষিত শ্রম আইন ও তথ্যের অধিকার সংক্রান্ত প্রচলিত ব্যবস্থাটির কারণেই ন্যূনতম বেতনের অধিকার নিয়ে আইন প্রণয়ন এবং তাঁদের সম্বন্ধে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া প্রশ্ন করা – এই দুটি বিষয়কে তুলে ধরতে প্ল্যাটফর্মকর্মীরা উৎসাহিত হয়েছেন। ইউনাইটেড কিংডমে, উবেরচালকরা ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সাবজেক্ট অ্যাক্সেস রিকোয়েস্ট প্রোভিশান বা নিজের বিষয়ে তথ্য জানার অনুরোধ করার উপায়কে কাজে লাগিয়ে উবেরকর্মীদের বিষয়ে তথ্য জোগাড় করতে পেরেছেন। এর ফলে, তাঁরা অন্যায্যভাবে কর্মীদের অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করে দেওয়ার বিষয়টিকে আদালত পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছেন ও তা নিয়ে সফলভাবে প্রশ্ন তুলেছেন। কর্মীদের অধিকার ও যৌথ ন্যায়বিচার সম্ভব করার জন্য বিচারবিভাগের ভূমিকা ভারতের প্রেক্ষিতেও অপরিসীম। ভারতের ক্ষেত্রে যেমন অনুমান করা হয়েছিল, তথ্যের অধিকারের স্বত্বের প্রশ্নটি তথ্য পোর্টালের মাধ্যমে কর্মীদের সম্বন্ধে যে তথ্য রাষ্ট্র সংগ্রহ করেছে তার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। কেন্দ্রীয়ভাবে তথ্য সঞ্চয় করার বদলে, একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর সাহায্যে ওই সঞ্চিত তথ্যকে গণতান্ত্রিক ও বিকেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা করা যায় কিনা সেই সম্ভাবনাকে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এই বিশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় কর্মী এবং সমাজসেবী ও নাগরিক সংস্থার প্রতিনিধিদের ব্যাপক অংশগ্রহণও জরুরী। একটি গণ-আলোচনাসভার পরেই ড্রাফট কোড অন সোশ্যাল সিকিউরিটি (সেন্ট্রাল) রুলস, ২০২০ বা সামাজিক সুরক্ষা (কেন্দ্রীয়) বিধি, ২০২০ খসড়াটি তৈরি হয়। ওই আলোচনাসভায় কর্মী যৌথগুলি দাবি জানায় যে, ঠিক কি উদ্দেশ্যে প্ল্যাটফর্ম অ্যাগ্রেগেটরগুলি কর্মীদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে তা রাষ্ট্রকে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে। এছাড়াও, তাঁরা ওই তথ্য জানার সরাসরি অধিকার, আদালতে সেই দাবি পেশ করার জন্য আইন এবং একজন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞকে দিয়ে অডিটের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।  

শ্রমিকদের অধিকারের জন্য একটি সমন্বিত পন্থা অবলম্বন
অধিকারের দাবি জানাতে যে প্রতিষ্ঠানগুলিকে ইতিমধ্যেই কাজে লাগানো হচ্ছে সেগুলি ছাড়াও প্রয়োজন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মালিকানার বিকল্প রূপ নিয়ে ব্যাপকহারে প্রকাশ্য আলোচনা। কর্মী সমবায় এবং সাধারণের মঙ্গলের জন্য প্রয়োজনীয় নানা উপায় সরবরাহ করছে এমন মঞ্চকে এই বিকল্প মালিকানার উদাহরণ হিসাবে উল্লেখ করা যেতে পারে। সমবায়ের অধীনে যে মঞ্চগুলি তৈরি হয় সেগুলি গণনামূলক পরিকাঠামোর পাশাপাশি সহযোগী বিনিয়োগ, প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক সহায়তার মত নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়। তবে, এমন ছোট আকারের উদ্যোগের উদাহরণও পাওয়া যায় যেখানে মধ্যস্থতাকারী সংগঠন হিসাবে স্থানীয় প্রশাসন ও বিভিন্ন ওপেন সোর্স সংস্থা এই সমবায় মঞ্চগুলিকে তাদের কাজ চালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে। যেমন, জার্মানিতে ডি লিঙ্ক বিনামূল্যে মুক্ত সফটওয়্যারের একটি পরিকাঠামো সরবরাহ করে। সমবায় মঞ্চকে টিঁকিয়ে রাখার জন্য তথ্যের আদানপ্রদান, সেগুলি বারংবার ব্যবহার করার সুযোগ, যৌথ প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা ইত্যাদি নানা জরুরি পদক্ষেপ এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্ভব হয়। সক্রিয় কার্যসূচী চালু করে রাষ্ট্র এই ধরনের মঞ্চের জন্য একটি বিনিয়োগ পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে। 

প্ল্যাটফর্মগুলিকে আরো কর্মীকেন্দ্রিক করতে এই সমস্ত নীতি যে সুযোগ দেয় তার ঠিক মাঝখানে আছে অধিকার ও ন্যায়ের ধারণার স্পষ্ট বিন্যাস সহ একটি নিয়ন্ত্রক পরিবেশ। এর পাশাপাশি প্রয়োজন সাংগঠনিক সমন্বয়। প্ল্যাটফর্ম অ্যাগ্রেগেটরকে নিয়ন্ত্রণে রাখা নিশ্চিত করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, কর্মীদের অধিকার নিয়ে, একদিকে শ্রমিক ইউনিয়ন এবং সমাজসেবী ও নাগরিক সংগঠনের মধ্যে ও অন্যদিকে রাষ্ট্র ও বিচারবিভাগের সঙ্গে সক্রিয় আলোচনা। ভারতের ইতিহাস দেশীয় নিরীক্ষা, শ্রমিক সমবায় এবং ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের একটি মূল্যবান দলিল। প্ল্যাটফর্মের অনিশ্চিত দুনিয়ায় কাজ করে যাঁরা জীবিকা অর্জন করছেন তাঁদের জন্য স্থায়ী ও ন্যায্য সম্ভাবনায় ভরা গতিপথ তৈরি করার জন্য যে সমন্বিত পন্থা অবলম্বনের প্রয়োজন তার সুযোগ এই দেশের হাতে আছে।   

ফ্রান্সিস কুরিয়াকোজ

Author

ফ্রান্সিস কুরিয়াকোজ ভারতের কোয়েম্বাটোরে অবস্থিত ভারথিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের কুমারাগুরু কলেজ অফ লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের সহকারী অধ্যাপক এবং ইউকে-র কেমব্রিজ ডেভেলপমেন্ট ইনিশিয়েটিভের উপদেষ্টা।

(Bangla Translation by Sritama Halder)
অনুবাদঃ শ্রীতমা হালদার

দীপা কৈলাসম আইয়ার

Author

দীপা কৈলাসম আইয়ার কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমব্রিজ-ট্রাস্ট কমনওয়েলথ স্কলার।

(Bangla Translation by Sritama Halder)
অনুবাদঃ শ্রীতমা হালদার