ভারত ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধঃ সামরিক নির্ভরশীলতা, চিরাচরিত আনুগত্য এবং কৌশলগত স্বশাসনের কূটাভাস

20/06/2022
IiT English Page

বিশ্বের সব চেয়ে জনবহুল গণতন্ত্র হিসেবে পরিচিত ভারত বহু বছর ধরেই অন্যান্য দেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামে সহায়তা করে চলেছে। দ্বিপাক্ষিক বা বাইল্যাটারাল ও বহুপাক্ষিক বা মাল্টিল্যাটারাল উদ্যোগের মিশ্রণ ও বিশেষ করে অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক পরিকল্পনার মাধ্যমে এই দেশ এই ধরণের সহায়তা সম্ভব করে। তবুও, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার সাম্প্রতিক আক্রমণ বিষয়ে ভারতের যে মনোভাব এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বা ইউনাইটেড নেশনস সিকিউরিটি কাউন্সিলে (অস্থায়ী সদস্য হিসেবে) এই আক্রমণের বিষয়ে তার যে আচরণ, তা এই দেশের গণতন্ত্রের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচয়ের যে দাবী তার বিপরীতে যায়। যুদ্ধের শুরুতেই রাশিয়ার আগ্রাসনকে ধিক্কার জানানর যে সঙ্কল্প জাতিসংঘ নিয়েছিল, ভারত তার পক্ষে ভোট না দেওয়ায় অনেক সদস্য-দেশই রুষ্ট হয়েছে। 

ভোট না দেওয়া থেকে বিরত থাকার সারবত্তা প্রমাণ করতে ভারত একটি তথাকথিত “এক্সপ্ল্যানেশান অফ ভোট” (ইওভি) প্রকাশের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এই নথিতে ভারত “কূটনীতির পথে ফেরা” এবং অবিলম্বে “হিংসা ও শত্রুতার” সমাপ্তির জন্য আবেদন জানায়। গুরুত্বপূর্ণভাবে, ভারত এই ইওভি-তে বিবৃত করে যে, “সমসাময়িক বিশ্বের রীতিনীতি নির্মিত হয়েছে জাতিসংঘের সনদ, আন্তর্জাতিক আইন এবং রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি শ্রদ্ধার উপর ভিত্তি করে…সামনে এগিয়ে চলার গঠনমূলক পন্থাটি খোঁজার সময় সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রেরই প্রয়োজন এই তত্ত্বগুলিকে মনে রাখা। এই মুহূর্তে যতই ভীতির উদ্রেক করুক না কেন, একমাত্র কথোপকথনই সমস্ত পার্থক্য ও দ্বন্দ্ব নিষ্পত্তির একমাত্র উপায়”।

জাতিসংঘের সনদের অন্তর্গত প্রাসঙ্গিকতা এবং উদ্দেশ্য অনুযায়ী ভারতের যে স্বীকৃত অবস্থান, এই বিবৃতি এবং কথোপকথন শুরু করার আহ্বান তার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলেও, আড়ম্বরপূর্ণ বাক্য উচ্চারণ ও বাস্তবে প্রকৃতই তার চর্চার মধ্যে এখনও স্পষ্ট অসঙ্গতি দেখা যায়। এক নজরে মনে হবে, জনসংঘে বিশ্বের বিভিন্ন গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের প্রত্যাশার থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের “ভাল” সম্পর্ক বজায় রাখা। আরও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হল, ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকে আপাতদৃষ্টিতে তার মুখ্য পররাষ্ট্র ও কৌশলগত নীতি, অর্থাৎ সর্বদা কৌশলগত স্বায়ত্তশাসনের প্রচেষ্টা বজায় রাখা, ভারত তা লঙ্ঘন করেছে।  

তবে, কৌশলগত দিক থেকে দেখলে, সোভিয়েত ইউনিয়ন যখন আফগানিস্তান আক্রমণ করেছিল তখন ভারতের যা প্রতিক্রিয়া ছিল, এবারেও সে তারই পুনরাবৃত্তি করছে। ভারতের ক্ষেত্রে তার জাতীয় সুরক্ষার পাশাপাশি এশিয়া ও বাকি বিশ্বের উপর তার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জিওস্ট্র্যাটেজিক প্রভাবও বিপন্ন। যে সামরিক নির্ভরশীলতা এই মুহূর্তে ভারত আর রাশিয়ার মধ্যে বর্তমান তা সুবিপুল এবং সঙ্গে সঙ্গে, সেটি একটি বিপজ্জনক প্রহেলিকাও তৈরি করেছে। ১৯৭১ সালে “ভারত-সোভিয়েত শান্তি, মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি” বা “ইন্ডো-সোভিয়েত ট্রিটি অফ পিস, ফ্রেন্ডশিপ অ্যান্ড কোঅপারেশান” সাক্ষরিত হওয়ার পর থেকে প্রতিরক্ষা এবং সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি সক্রিয় হয়েছিল। যদিও ২০০০ সালের অক্টোবর মাস থেকেই ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি কৌশলগত সম্পর্ক ছিল, যা ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে “বিশিষ্ট ও বিশেষাধিকারপ্রাপ্ত সম্পর্কে” উন্নীত হয়েছে। 

যদিও, গত কয়েক বছরে রুশ আমদানি স্পষ্টতই হ্রাস পেয়েছে, স্টকহোম ইন্টারন্যাশানাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (এসপিআরআই)-এর সরকারী তথ্য থেকে জানা যায় যা, ১৯৯৬-২০১৫ সাল পর্যন্ত ভারতের আমদানিকৃত সামরিক সরঞ্জামের সত্তর শতাংশই আসত রাশিয়া থেকে এবং ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তার হার উনপঞ্চাশ শতাংশের আশেপাশে। প্রকৃতপক্ষে, বর্তমানে ভারতের যাবতীয় সামরিক সরঞ্জামের সত্তর শতাংশই রাশিয়া থেকে সরাসরি আমদানি, যুদ্ধাস্ত্র নির্মাণে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের অধিকাংশ রাশিয়া থেকে আনা হয়েছিল বা রাশিয়া ভারতকে এই সরঞ্জাম উৎপাদনের অনুমতি দিয়েছিল। ২০২০ সাল এই সরঞ্জামগুলি ছিল, অধিকাংশ ভারতীয় ট্যাংক, একমাত্র বিমান বাহক (আইএনএস বিক্রমাদিত্য, একটি ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত কিয়েভ-ক্লাস যুদ্ধবিমান বাহক) ও তার সমস্ত মিগ-29 যুদ্ধবিমান, ছয়টি ফ্রিগেট, চারটি ডেসট্রয়ার এবং একমাত্র পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন ডুবোজাহাজ। এর পাশাপাশি, ভারতীয় নৌসেনার চৌদ্দটি ডুবোজাহাজের মধ্যে আটটিই রাশিয়ান কিলো-ক্লাসের অন্তর্গত। ভারতীয় বায়ুসেনা রুশ ট্যাঙ্কার বিমানের পাশাপাশি, সুখোই সু-30এমকেআই এবং মিল এমআই-17 ব্যবহার করে। যুদ্ধবিমান ও ইউটিলিটি হেলিকপ্টারের অধিকাংশই যথাক্রমে এই দুই শ্রেণীর অন্তর্গত। সম্প্রতি ভারত এস-400 ক্ষেপণাস্ত্র প্রণালীটিও কিনেছে।

যদিও, সামরিক দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইজরায়েল, ফ্রান্স ও ইটালির মত অন্যান্য দেশের দিকেও ভারত আবার মনোযোগ দিচ্ছে – এবং ধীরে ধীরে নিজের ক্ষমতা বাড়িয়ে বিদেশী আমদানির দেশজ বিকল্প তৈরি করছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও বেশ কিছু সংখ্যক নতুন ভারত-রুশ পরিকল্পনা চিন্তাভাবনার স্তরে আছে বা ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হতে চলেছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে তথাকথিত “2+2 ডায়লগ”-এর (ভারত আর তার মিত্রপক্ষের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের মধ্যে) কাঠামোতে ভারত ও রাশিয়া তাদের সামরিক-প্রযুক্তিগত সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায় শুরু করেছে। ঘটনাচক্রে, ভারত তার চারটি প্রধান কৌশলগত অংশীদার – অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও সদ্য সংযুক্ত রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত, নিরাপত্তা ও দৌত্যের ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্যও এই একই বিন্যাস ব্যবহার করেছে। রাশিয়া আর ভারত আরও দশ বছরের (২০৩১ সাল পর্যন্ত) জন্য পারস্পরিক সামরিক সম্পর্ক গভীরতর করতে সম্মত হয়েছে। নতুন যে দিকগুলির সংযোজনের কথা ভাবা হয়েছে তা হল, রুশ যুদ্ধাস্ত্র প্রণালীর গতানুগতিক খরিদ্দারির পাশাপাশি অনেক সাধারণ গবেষণা প্রকল্প এবং নতুন যুদ্ধাস্ত্র প্রণালী যা দুই দেশেই সমানভাবে উৎপাদিত হবে তার বিকাশ। যেগুলি নতুনভাবে উৎপাদিত হবে সেগুলি হল, ফ্রিগেট, হেলিকপ্টার, ডুবোজাহাজ, নিয়ন্ত্রণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র এবং এমনকি কালাশনিকভও।  

এই পারস্পরিক সহযোগিতার গভীরতা এবং, বিশেষ করে ভারতের নির্ভরতা একটি সুবৃহৎ দ্বিধাকে সামনে এনে দেয়, কৌশলগত দিক থেকেই একমাত্র তার কঠিন পরিণাম আছে এমন নয়, সঙ্গে সঙ্গে তার একটি দীর্ঘস্থায়ী আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়াও দেখা যায়। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে বিশ্বব্যাপী নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে তা বিশেষত রুশ অর্থনীতি ও সামরিক শক্তিকে লক্ষ্য করে। মাইক্রোচিপ আর যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশের মত জরুরি উপাদান সংগ্রহের দিক থেকে দেখলে মনে হয় যে রাশিয়া খুব তাড়াতাড়ি, বিশেষ করে মেরামত, নির্মাণ এবং অতিরিক্ত অংশ মজুত রাখার ক্ষেত্রে, ঘাটতির মুখোমুখি হবে (নতুন সরঞ্জাম উৎপাদন তো আরও পরের বিষয়)। যদি না চিনের মত অন্য কোন দেশ এই আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা না করে, তাহলে নিজের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তদারকিতে রাশিয়ার প্রত্যাশিত অক্ষমতা আরও অনেক বিষয়কেই প্রভাবিত করবে। ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছে রাশিয়ার পক্ষে তা পূরণ করা সম্ভব হবে না এবং রুশ যুদ্ধাস্ত্রের অপ্রতুলতার কারণে যে অতিরিক্ত যন্ত্রাংশের অভাব দেখা দেবে, তার ফলে ভারতের নিজের সামরিক বাহিনীও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। উৎপাদন ও সংগ্রহবিষয়ক চুক্তি এবং সাধারণ প্রকল্পগুলি তাই বিপদের মুখোমুখি হয়েছে এবং সেই জন্য  ভারত এই মুহূর্তে রাশিয়ার সুনামের উপর আগের চেয়েও অনেক বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। 

সামরিক বিষয়ে নির্ভরশীলতার পর আছে অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক ফলাফল যা ভারতের ভোট দেওয়ার ধরণকে প্রভাবিত করে। ভারত যেহেতু তার প্রয়োজনীয় তেল আর গ্যাসের আশি শতাংশই বাইরে থেকে আমদানি করে, তাই এই বিশ্বব্যাপী নিষেদ্ধাজ্ঞার কারণে ইতিমধ্যেই তেল ও গ্যাসের দামে নাটকীয় বৃদ্ধি দেখা গেছে। রাশিয়ার বদলে অন্যান্য দেশ থেকে সামরিক সরঞ্জাম আমদানি করা অনেক বেশি ব্যয়সাধ্য হবে। কোভিড-19 অতিমারীর কারণে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত ভারতের অর্থনীতিতে এই বিষয়টি আরেকটি বড় আঘাত। রাজনৈতিক দিক থেকে দেখলে, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের আধিপত্য স্পষ্টতই চাপের মুখে পড়েছে যা চিন-পাকিস্থান জোটের কারণে খুব একটা তুচ্ছও নয়। ভারত আর পাকিস্তানের ইতিমধ্যেই প্রবল অস্থির সম্পর্কের পক্ষে এই জোট ভারতের চোখে খুবই বিপজ্জনক। উপরন্তু, ২০২০ সালের মে মাসে ভারত-চিন সম্পর্কে আরও অবনতি ঘটে যখন হিমালয়ের সীমান্তপ্রদেশে চিনের অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলির কারণে লড়াই শুরু হয় যার ফলে অনেক সৈন্যের মৃত্যু হয়। তার উপর, দক্ষিণ চিন সাগরের উপর চিনের অধিকারের দাবিকে ভারত খোলাখুলি বিরোধিতা করে। শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং, বিশেষ করে, পাকিস্তানে সড়ক উদ্যোগ বা রোড ইনিশিয়েটিভের কাঠামোতে চিনের সাহায্যের প্রস্তাবনাও ক্রমশ আরও বেশি করে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে ভারতের দাবী যে চিন আসলে ভারতকে চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলার চেষ্টা করছে।  

রাশিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদ সৃষ্টি না করে স্বাধীনতার পঁচাত্তরতম বছরে ভারত বিশুদ্ধ রিয়েলপলিটিক বা রাজনীতির এমন একটি প্রণালী অনুসরণ করছে যা নৈতিকতা বা আদর্শের পরিবর্তে রাষ্ট্রের স্বার্থ ও প্রয়োনীয়তাকেন্দ্রিক ব্যবহারিক ভিত্তিকেই বেশি গুরুত্ব দেয়। এই নীতি অবলম্বন করে ভারত রাশিয়াকে বিচ্ছিন্নও করছে না, আবার সঙ্গে সঙ্গে ইউক্রেনকে মৌখিক সমর্থনও জানিয়ে চলেছে। এর বৈপরীত্যময় ফলাফল হল, রাশিয়া এখন তেল, গ্যাস ও অন্যান্য বিনিয়োগ আরও কম মূল্যে দেবে বলে জানিয়েছে, এবং একই সময়ে ইউকে ভারতের সঙ্গে তার সামরিক সম্পর্ক উন্নততর করার কথা বলেছে এবং ইউকেতে উৎপাদিত যুদ্ধাস্ত্র ভারতকে সরবরাহ করার প্রস্তাব করেছে। দেশের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানটির কথা ভেবেই ভারত সামরিক ক্ষেত্রে বা স্বল্পমূল্যের তেল ও গ্যাসের উৎপাদক হিসেবে রাশিয়ার সাহায্যের হাত ছেড়ে দিতে পারে না। এর পর থেকে, ভারতের সামরিক বাহিনীকে দেশের জাতীয় নিরাপত্তাকে সুরক্ষিত করতে হবে এবং ভারতের প্রভাব ও শক্তিকে দেশের সীমান্ত পেরিয়ে আরও দূরে ছড়িয়ে দিতে হবে।

আর্নডট মাইকেল

Author

আর্নডট মিশেল ফ্রাইবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জার্মানি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের লেকচারার, ইন্ডিয়া’জ ফরেন পলিসি অ্যান্ড রিজিওনাল মাল্টিল্যাটারালিজম (প্যালগ্রেভ ম্যাকমিলান, ২০১৩) নামের বহু পুরস্কারপ্রাপ্ত বইয়ের লেখক এবং ইন্ডিয়ান ভারস্টিয়েন (আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইন্ডিয়া, স্প্রিঙ্গার ২০১৬) নামক বইটির সহ-সম্পাদক। এশিয়ান সিকিউরিটি, কেমব্রিজ রিভিউ অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ারস, হার্ভার্ড এশিয়া কোয়াটার্লি, ইন্ডিয়া কোয়াটার্লি এবং ইন্ডিয়া রিভিউতে তাঁর প্রবন্ধ বেরিয়েছে। 

(Bangla Translation by Sritama Halder)
অনুবাদঃ শ্রীতমা হালদার