দুর্বল অবস্থানের নির্মাণঃ সুন্দরবনের দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে অ্যাকোয়াকালচারকেন্দ্রিক মুনাফা উৎপাদন

14/03/2022
IiT English Page

বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোনের হার বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যে নোনা জল ঢুকে গ্রামগুলিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে তা বেসরকারী ব্যবসায়ী যাঁরা বাণিজ্যিকভাবে চিংড়িমাছের অ্যাকোয়াফার্মিঙে আগ্রহী তাঁদের কাছে একটি আকর্ষনীয় দৃশ্য হয়ে উঠছে। বহু দশক ধরেই বাংলার বদ্বীপীয় অঞ্চলের গ্রামবাসীরা জীবিকা অর্জনের জন্য স্বল্প পরিমাণে চিংড়ি চাষ করছেন। সেখানে আরও ব্যাপকভাবে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অ্যাকোয়াকালচারের এই সাম্প্রতিক বিস্তারের একটি লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য হল, সমাজের যে গোষ্ঠীগুলি ইতিমধ্যেই নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত সেগুলিকেই বেসরকারী বাণিজ্যিক সংস্থার মালিকরা লক্ষ্যবস্তু করেছেন। দুর্ভাগ্যের মুখোমুখি হয়ে এই গোষ্ঠীগুলি তাঁদের জমি নোনাজল চাষের জন্য ইজারা দিতে বাধ্য হন। ধানচাষ করা থেকে অ্যাকোয়াকালচারের দিকে চলে যাওয়াই এই গোষ্ঠীগুলির অবস্থানকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে দুর্বল করে দেওয়ার দিকে প্রথম পদক্ষেপ। বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণিঝড়প্রবণ অঞ্চলগুলিতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিতে ভারসাম্য আনতে চিংড়িমাছ চাষে উৎসাহ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ও উড়িষ্যার উপকূলবর্তী গ্রামগুলি দেখলে বোঝা যায় যে প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধ্বংসের পাশাপাশি চিংড়িমাছের নিবিড় চাষ দরিদ্র জমিমালিকদের আরও দারিদ্রের দিকে ঠেলে দেয়।    

বিপর্যয়ের পূর্বাভাস 
বাংলাদের ও উড়িষ্যায় চিংড়িচাষের প্রভাব নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী গবেষণা থেকে প্রকাশ পেয়েছে, চিংড়িমাছ রপ্তানী করে জাতীয় স্তরে প্রচুর বিদেশি মুদ্রা উপার্জন হওয়ার পাশাপাশি চিংড়িচাষের কারণে সমুদ্রতীরবর্তী অঞ্চলগুলির আর্থসামাজিকভাবে দুর্বলতম বাসিন্দারা ব্যাপকভাবে গৃহচ্যূত হন এবং স্থানীয় প্রকৃতির ভারসাম্যের উপরেও এর একটি প্রবল নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশে চিংড়ির উৎপাদন ছিল ১৪,৭৭৩ টন যা ২০১৬ সালের মধ্যে বেড়ে হয়েছে ১৩২,৭৩০ টন এবং ১৯৮৬ সালে চিংড়িচাষের জন্য ব্যবহৃত জমির পরিমাণ ২৭২ বর্গমাইল থেকে বেড়ে ২০১৬ সালের মধ্যে হয় ১,০৬৪ বর্গমাইল। এই দ্রুত বিস্তার এবং বিশেষভাবে চিংড়িচাষের জন্য ভেড়ি তৈরি করার জন্য ম্যানগ্রোভ অরণ্য ধ্বংস হচ্ছে। এই নোনাজলপূর্ণ ভেড়িগুলি বহু বছর ধরেই ভূমির গুণমানের অপূরণীয় ক্ষতি করে চলেছে যার ফলে জমি ব্যবহারের নকশা এমনভাবে বদলে যাচ্ছে যার সংশোধন অসম্ভব। শাপান আদনান দেখিয়েছেন, যে বাণিজ্যিকভাবে চিংড়িচাষের জন্য অসংখ্য দরিদ্র কৃষককে ছিন্নমূল করে যে জমি জবরদখল করা হয়, তার পিছনে আছে আন্তর্জাতিক ব্যাংক এবং উন্নয়নকারী সংস্থা। ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করার উপায়  হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে চিংড়ির অ্যাকোয়াফার্মিং-কে তুলে ধরা হয় বলেই সাহায্যকারীদের মধ্যে আর্থিক সহায়তা দানের আগ্রহ তৈরি হয় এবং সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্ব বেড়ে চলতে দেখা যায়। কাসিয়া পাপরোকি ও সালিমুল হক লিখেছেন যে, এর কারণ হিসেবে যে অন্তর্নিহিত যুক্তি দেখান হয় তা হল "উপকূলবর্তী অঞ্চলের ক্রমবর্ধমান দুর্বলতা ও মাটির বেড়ে চলা লবণাক্ততাকে বাজারভিত্তিক উন্নতি এবং রপ্তানীকেন্দ্রিক উন্নয়নের সুযোগে পরিণত করা হয়"।      

তবে, বসুধারা ছোত্রে ও জো হিল তাঁদের সাম্প্রতিক নজিরভিত্তিক গবেষণাতে যেমন দেখিয়েছে, এই বাজারকেন্দ্রিক উন্নতি ও মুনাফাভিত্তিক উন্নয়নের কাহিনীর নিচে চাপা পড়ে আছে ক্রমবর্ধমান দারিদ্রের আরেকটি কাহিনী। উড়িষ্যার মহা ঘূর্ণিঝড় এরসামাইন ১৯৯৯-এর পরবর্তী সময়ের নিরাময় প্রক্রিয়ার বিষয়ে তাঁদের গবেষণাটিতে তাঁরা দেখিয়েছে যে, বিধ্বস্ত অর্থনীতির ভারবহন করার জন্য অ্যাকোয়াকালচারের উপায় অবলম্বন করা কৌশল হিসেবে শুধু ত্রুটিপূর্ণই নয়, বরং এই উপায়টি অতিরিক্ত বিপর্যয়কে আমন্ত্রণ করে ও বাড়িয়ে তোলে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঢুকে পড়া নোনাজল, সমুদ্রতলের অস্বাভাবিক স্ফীতি এবং বন্যা চিংড়িমাছের লার্ভা বিনষ্ট করে। এছাড়াও, কীটনাশক, কৃত্রিম সার, মাটি ও জলের স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ, এবং সংক্রামক রোগের বীজের ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধ করতে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার স্বাস্থ্য ও প্রাকৃতিক ভারসাম্যের উপর দীর্ঘস্থায়ী ও প্রতিকূল প্রভাব ফেলে। ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ফলে কৃষকরা শুধু আন্তর্জাতিক পুঁজিবাদী অর্থনীতির তেজী-মন্দার ধারাবাহিক বৃত্তের মুখাপেক্ষী হয়ে পড়েন এমন নয়, এর ফলে তাঁরা তাঁদের কৃষিখামার ও একদা উর্বর ও কৃষিযোগ্য জমি পরিত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। রাষ্ট্রের পরিচালনায় অ্যাকোয়াফার্মিং ভিত্তিক উন্নয়নের ফলে চক্রের মত বারংবার ঘুরে আসা দারিদ্রের ক্রমবর্ধমান প্রসার ও অনুৎপাদক বিবেচনা করে ভূমিত্যাগ করার ঘটনা যে আসলে অনুৎপাদনশীলতাকেই আরও জোরদার করে, বাংলাদেশের অবস্থার কথা পুনরাবৃত্তি করে ছোত্রে ও হিল তার বর্ণনা করেছেন। এই জাতীয় বাজারকেন্দ্রিক অভিযোজনের কাহিনী আসলে আরও দারিদ্রকরণকে ঢেকে রাখার উপায়। কর্পোরেটের স্বার্থে রাষ্ট্র যে ভাবে বাণিজ্যিক অ্যাকোয়াকালচারের চর্চাকে মেনে নিচ্ছে, তা থেকে মনে হয় যে, কৃষকদের আরও বেশি করে দারিদ্রের ঠেলে দেওয়ার পাশাপাশি তটভূমির ক্ষয়ের ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রের সক্রিয় ভূমিকা আছে। পশ্চিমবঙ্গের উদাহরণগুলি আসলে আরও বিপর্যয়েরই পূর্বাভাস। বিশ্ববাজারের অস্থিরতা, রোগের প্রকোপ এবং দ্রব্যমূল্যের উত্থান-পতনের কারণে এই রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগণা জেলার অনেক অ্যাকোয়াকালচারের কেন্দ্রকে ইটভাঁটিতে পরিণত করা হয়েছে। এর ফলে জমি ব্যবহারের নকশায় এমন পরিবর্তন এসেছে যার সংশোধন অসম্ভব ও সেই কারণে স্থানীয় পরিবেশ গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।    

দারিদ্রের সুযোগ নিয়ে লুন্ঠন
পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণতম প্রান্তের সমুদ্রতটবর্তী গ্রামগুলিতে, চিংড়ির অ্যাকোয়াকালচারের পাশাপাশি আরও একটি উদ্বেগজনক প্রবণতা দেখা যায়। ২০২১ সালের মার্চ মাসে আমি দক্ষিণ ২৪ পরগণার একটি উপকূলবর্তী গ্রামে গিয়েছিলাম। এই সময় আমি আবিষ্কার করি যে, নিঃস্বতম পরিবারগুলিকেই  চিংড়িচাষের জন্য জমি ইজারা দিতে রাজি করানর চেষ্টা করা হচ্ছে। কালিদাসপুর - স্থান ও পাত্রের নাম বদলে দেওয়া হয়েছে - গোসাবা ব্লকের অন্তর্গত একটি দ্বীপে অবস্থিত একটি মুসলিম প্রধান অঞ্চল। এখানে আমি ইদ্রিশ শেখ নামের একজন মধ্যবয়স্ক চাষীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করি, যিনি গত পঁচিশ বছর ধরে ধানচাষ করছেন। দ্বীপের যেদিকে তাঁর বাসস্থান সেদিকটিতে মাত্রাতিরিক্ত ভাঙন ধরেছে; ২০২০ সালের আম্ফান মহা ঘূর্ণিঝড়ের পর বাঁধে একটি নতুন ফাটল দেখা গেছে যার ফলে আরও বেশী পরে নোনাজল প্রবেশ করছে। আম্ফানের তাণ্ডবের প্রায় এক বছর পরে, আমাদের যে সময় দেখা হয়, তখন তিনি তাঁর জমিকে চিংড়ির অ্যাকোয়াকালচারের জন্য তৈরি করছেন এবং "শিলিগুড়ির একজন ব্যবসায়ী" অনেকবার তাঁকে (এবং তাঁর প্রতিবেশীদের মধ্যে আরও অনেককে) গত কয়েক বছরে যে ভেনামি চিংড়ি রপ্তানীর হার বহু গুণ বেড়ে গেছে, সেই চিংড়ি চাষের জন্য জমি ইজারা দেওয়ার জন্য রাজি করানর চেষ্টা করছেন। শিলিগুড়ির এই ব্যক্তি একশ বিঘা (কুড়ি একর) জমির খোঁজে ছিলেন। ইজারার মেয়াদ শুরুতে পাঁচ বছর এবং তা পরে আরও বাড়ান যেতে পারে। তবে চাষের জমি এবং নিজস্ব মিষ্টি জলের পুকুরকে নোনাজলের ভেড়িতে পরিণত করা নিয়ে শেখ শুরুতে যথেষ্ট দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ের পরে নোনাজল ঢুকে তাঁর জমির উর্বরতা ইতিমধ্যেই কমে গিয়েছিল। অ্যাকোয়াকালচারের জন্য জমি ইজারা দিলে সেই ভূমিতে আর ধান বা অন্য কোন শাকসবজি ফলান সম্ভব হবে না। ভেনামি চিংড়ি গ্লোবাল নর্থের স্বাদ ও চাহিদাকে পূরণ করে - ইউএস, চীন, ই.ইউ ও জাপানসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্য অনেক দেশেই এই মাছের রপ্তানী হয়। কিন্তু স্থানীয় খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে এই মাছের কোন সংযোগ নেই বা তা গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টির চাহিদাকেও পূরণ করে না। উপকূলীয় অঞ্চলের প্রাকৃতিক ভারসাম্যের দীর্ঘস্থায়ী সহনশীলতা ও অভিযোজন ক্ষমতার উপর একটি নির্দিষ্ট জাতের চিংড়িমাছের চাষ বা মোনোকালচার ও বংশবৃদ্ধির বিপজ্জনক প্রভাব পড়ে। 

শেখ প্রথমে ওই ব্যক্তির প্রস্তাবে রাজি হন নি। সেই সময় তাঁকে বিঘা প্রতি মাসিক চার হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। শিলিগুড়ির ওই ব্যবসায়ী আবার আসেন এবং এবার প্রতি বিঘায় ছয় হাজার টাকা দেওয়ার প্রস্তাব করেন। ভেনামি চাষের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা থাকা সত্ত্বেও বারংবার ঘূর্ণিঝড়ের কারণে তৈরি হওয়া দুর্দশার সঙ্গে কোভিড-19 অতিমারীর কারণে চালু হওয়া লকডাউন যুক্ত হয়ে তাঁরা যে অনিশ্চয়তার মুখোমুখি হয়েছিলেন তার তাড়নাতেই শেখ, তাঁর ভাই ও অন্যান্য প্রতিবেশীদের পক্ষে এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা সম্ভব হয় নি।    

কালিদাসপুর এই দ্বীপের দরিদ্রতম অঞ্চলগুলির মধ্যে একটি। এই অঞ্চলের মোটামুটি পঞ্চাশটি পরিবারের সামাজিক সূচক থেকে একটি উদ্বেগজনক প্রবণতার কথা বোঝা যায়। এঁদের মধ্যে চৌত্রিশটি পরিবার সরকারী জমিতে বাস করেন এবং এই জমির উপর তাঁদের দখলকারীর অধিকার (খাসজমিন) আছে, বারটি পরিবারের কাছে জমির দখল-স্বত্ব আছে (রায়তি জমিন) এবং আটটি পরিবার নমঃশূদ্র (এসসি) গোষ্ঠীভুক্ত (জেলে বাগদী ও তেঁতুল বাগদী)। 

সুন্দরবন অঞ্চলে যেমন দেখা যায়, কালিদাসপুরের মুসলিম পরিবারগুলির "সংখ্যালঘু পরিচয়" আছে কিন্তু তাঁরা নমঃশুদ্র শ্রেণীভুক্ত নন। তাই অত্যন্ত দারিদ্রের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও এই পরিবারগুলি অন্যান্য পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর মত জনকল্যাণমূলক সাহায্য পাওয়ার অধিকারী নন। এই অঞ্চলের এই দারিদ্র ও ঘূর্ণিঝড় আর সমুদ্রস্তরের অস্বাভাবিক স্ফীতির কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতিই এখানকার বাসিন্দাদের বেসরকারী ব্যবসাদারদের চোখে আকর্ষনীয় করে তোলে। ধরে নেওয়া হচ্ছে এই রকম দুর্দশায় পড়ে শেখ ও তাঁর প্রতিবেশীদের মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তাই তাঁদের চাষের জমিকে নোনাজলের ভেড়িতে পরিণত করতে রাজী করান এই সময় সহজ হবে মনে করেই ব্যবসায়ীরা তাঁদের লক্ষ্যবস্তু করে তুলছেন। পশ্চিমবঙ্গে প্রাকৃতিক একটি বিপর্যয়কেন্দ্রিক পুঁজীবাদী অর্থনীতি গড়ে উঠছে এবং আর্থসামাজিক দিক থেকে সব চেয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেশ কয়েকটি ইতিমধ্যেই যে দুর্দশার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন তার সুযোগ নেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের এই দ্রুত বদলে যেতে থাকা ভূচিত্রে অবস্থিত অনেক উদাহরণের মধ্যে একটি এই কালিদাসপুর।  

চিংড়ির অ্যাকোয়াকালচার আদতে একটি সাময়িক সমাধান। নোনাজল মাটির ভিতরে প্রবেশ করায় পানীয় জলের দূষণসহ অ্যাকোয়াকালচারের সঙ্গে যুক্ত আরও অনেক পরিবেশগত বিপদের মত দীর্ঘস্থায়ী প্রতিকূল প্রভাবের কারণে আরও বেশী দারিদ্রকরণ ঘটবে। বঙ্গীয় বদ্বীপীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় ও সমুদ্রতলের স্ফীতির মত সমস্যার পাশাপাশি আছে তুমুল দারিদ্র ও দুর্বল আর্থসামাজিক অবস্থানের সুযোগ নিয়ে মুনাফাসন্ধানী বাণিজ্যিক কৃষি যা বিপর্যস্ত অর্থনীতিকে তুলে ধরার উপায় হিসেবে প্রচারিত হলেও পরে আরও বড় বিপর্যয়ের কারণ হয়ে উঠবে।   

মেঘনা মেহতা

Author

মেঘনা মেহতা ভারতের নতুন দিল্লীর দ্য এম.এস মেরিয়ান - আর টেগোর ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার অফ অ্যাডভান্স স্টাডিজ "মেটামরফোসিস অফ দা পলিটিক্যাল" (আইসিএএসঃএমপি)-র একজন ফেলো।

(Bangla Translation by Sritama Halder)
অনুবাদঃ শ্রীতমা হালদার