গত কয়েক মাস ধরে ভারত একটা নিরন্তর পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে চলেছে। গণমাধ্যমের মনোযোগ প্রধানত অর্থনৈতিক মন্দা আর কোভিড-19 সংক্রান্ত সংকটের উপর থাকলেও, আরো দুটি আপাতদৃষ্টিতে সম্পর্কহীন বিষয়ও এই দ্রুত পরিবর্তনশীল সংবাদচক্রে বারে বারে উঠে এসেছে। সেই বিষয়দুটি হল, মেয়েদের বৈধ বিবাহযোগ্য বয়স ২১ করা এবং পূর্ব ভারতের বন্যা। যদিও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইন (২০০৬) বলবৎ হওয়ার পরের দশকেই নাবালক ও নাবালিকাদের বিয়ের হার ৩৬.৬৯ শতাংশ থেকে কমে ১৬.১ শতাংশে পৌঁছেছে, তা সত্ত্বেও ভারতের পূর্ব অংশে এই ধরনের বিয়ে এখনো একটি বহুলপ্রচলিত ব্যাপার। বাল্যবিবাহের ঘটনাগুলির মধ্যে ৩০ শতাংশই এই অঞ্চলের চারটি রাজ্যে (বিহার, ঝাড়খন্ড, উড়িষ্যা আর পশ্চিমবঙ্গ) ঘটে। স্পষ্টতই, বিয়ের ন্যূনতম বৈধ বয়স সীমিতকরণ, বৈবাহিক সম্পর্কে প্রবেশ করা থেকে এই অঞ্চলের কম বয়সী ছেলেমেয়েদের বিরত করতে পারে নি। এর পাশাপাশি, বন্যাপ্রবণ অঞ্চলের সীমানা ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে এবং আগামী বছরগুলিতে হড়কা বানের পরিমাণ এবং প্রসার আরো বাড়বে বলেই মনে হচ্ছে।
এই অঞ্চলের কম বয়সে বিয়ে এখনো চালু থাকার কারণ কি হতে পারে? আমরা আমাদের সাম্প্রতিকতম গবেষণাপত্রে বাল্যবিবাহ আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে বিশ্লেষণ করেছি এবং আলোচনা করার চেষ্টা করেছি যে, যে প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলির কারণে অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটে সেগুলি বাল্য বিবাহের প্রাদুর্ভাব বাড়িয়ে দিতে পারে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বাল্যবিবাহের মধ্যে এই সাধারণ সম্পর্ককে প্রকাশ্যে আনার জন্য আমরা ২০০৮ সালে বিহারের কোশী নদীতে যে বন্যা হয়েছিল তার উপর মনোযোগ দেব। এই বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্থ জায়গাগুলি আর্থিক দিক থেকে প্রবল ধাক্কা খায়।
২০০৮ সালের ১৮ আগস্ট, নেপালের সুনসারি জেলার কুসাহা গ্রামে কোশী নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দেয় এবং এই ভাঙনের মধ্যে দিয়ে কোশী নদী দুশ বছর আগে তার ফেলে আসা গতিপথে ফিরে যায়। এর ফলে, এই নদী তার বর্তমান প্রবাহপথের থেকে একশ কিলোমিটার দূরে সরে যাওয়ায় উত্তর বিহারের অনেক অংশই সম্পূর্ণ জলের নীচে চলে যায়। আরারিয়া, মাধেপুর, সহর্ষ, সুপৌল আর পূর্ণিয়া জেলার প্রায় এক হাজারটি গ্রাম তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। দশ লাখ মানুষ সাময়িকভাবে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েন এবং তার সঙ্গে সঙ্গে কুড়ি লাখ মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ হন। রাজ্যসরকার অসাধারণ তৎপরতার সঙ্গে এই অবস্থার মোকাবিলা করলেও অনেক পরিবারকেই বন্যাক্রান্ত অঞ্চল থেকে বেরনোর ব্যবস্থা নিজেদেরই করে নিতে হয়। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ নিজেদের গ্রামে ফিরে আসার আগে পর্যন্ত চার মাস ধরে চার লাখ চল্লিশ হাজারের বেশি মানুষ বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে বাস করেছেন। জনসংখ্যার দিক থেকে বিচার করলে বন্যার ফলে মৃত্যুর হার অনেকটাই কম (৫২৭ জন – বিহারের জনসংখ্যার ০.০০৫ শতাংশ) হলেও কোশী নদীর বন্যার ফলে বিপুল পরিমাণে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হিসাব মত এই ক্ষতির পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় ৫,৯৩৫ মিলিয়ন টাকা (১৩৪.৯ মিলিয়ন ডলার) যা ওই বছরের রাজ্যের মোট দেশজ উৎপাদন বা গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্টের ০.৫ শতাংশ। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এই বন্যাকে “জাতীয় বিপর্যয়” বলে আখ্যা দেন।
বিয়ের বয়সের উপর কোশী নদীর বন্যার সাধারণ প্রভাবকে আলাদা করতে আমরা জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষা বা ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের চতুর্থ পর্বের ফলাফলের সাহায্য নিয়েছি। কোন অঞ্চল বন্যাপ্রবণ এবং কোন অঞ্চল নয় তার উপর ভিত্তি করে যে অঞ্চলভিত্তিক বৈসাদৃশ্য দেখা যায় সে বিষয়টিও আলোচনায় এনেছি। এছাড়া, পার্থক্যের-মধ্যে-পার্থক্য, অর্থাৎ সাধারণ সময়ে দুই বা তার বেশি অঞ্চলের মধ্যে যে স্বাভাবিক ফারাকগুলি থাকে, বিশেষ কারণে সেগুলির মধ্যে আরো তফাত তৈরি হওয়া যে সম্ভব - এই যুক্তি মাথায় রেখে, সময়বিশেষে বিয়ের বয়সে অস্থায়ী বদল আসতে পারে – এই বিষয়টিও বিবেচনায় নিয়েছি। এই ছকের সাহায্যে বিয়ের বয়সের উপর বন্যার প্রভাব নির্ণয় করা সম্ভব। তার জন্য ২০০১ এবং ২০০৮ সালের জুলাই মাসের মধ্যে বন্যাপ্রবণ অঞ্চল এবং বন্যার নাগালের বাইরের জেলাগুলিতে ঘটা বাল্যবিবাহের (এই সময়সীমার মধ্যে এই দুই দলের কারোরই বন্যার অভিজ্ঞতা হয় নি) হার এবং ২০০৮ এবং ২০১৫ সালের (যে সময়সীমার মধ্যে বন্যাদুর্গত অঞ্চলের বাসিন্দারা অর্থনৈতিক ধাক্কার মুখোমুখি হয়েছেন) মধ্যে ওই অঞ্চলগুলিতে ঘটা বাল্যবিবাহের হারের তুলনা করা যেতে পারে। যদি ধরেও নেওয়া হয় যে, বন্যা না হলে এই দুইয়ের মধ্যে কোন দলেরই বিয়ের বয়সের বদল হত না, তাহলেও এই দুই ভিন্ন সময়সীমার মধ্যে ওই দুই অঞ্চলভিত্তিক দলের মধ্যে ঘটা বাল্যবিবাহের হারের মধ্যে যে পার্থক্য, অর্থাৎ পার্থ্যক্যের-মধ্যে-পার্থক্য, তার থেকেই বিয়ের বয়সের উপর কোশী বন্যার প্রভাব বোঝা যায়। সংগৃহীত নমুনার মধ্যে ১৮,৭৯৭ জন মহিলা ও পুরুষ ৩,০৩৩ জন। এঁদের বিয়ে হয় ২০০১ থেকে ২০১৬ সাল অর্থাৎ কোশী বন্যার সাত বছর আগে ও পরের সময়সীমার মধ্যে (জাতীয় পারিবারিক স্বাস্থ্য সমীক্ষার চতুর্থ পর্বে এলোমেলোভাবে বেছে নেওয়া স্বামীদের মধ্যে মাত্র ১৫ শতাংশকে প্রশ্ন করা হয়)। আশ্চর্যজনকভাবে, ১৯৫০-এর দশকে কোশী নদীর দুই পাড়ে বাঁধ দেওয়ার পর, বহু দশক ধরেই এই বন্যাক্রান্ত জেলাগুলি বন্যাপরিস্থিতির মুখোমুখি হয় নি। যেহেতু ২০০৮ সালের বর্ষাকালে বিহারে বৃষ্টির পরিমাণ স্বাভাবিক ছিল, তাই এই বন্যা ওই পাঁচটি বন্যাদুর্গত জেলার বাসিন্দাদের কাছে অপ্রত্যাশিতই ছিল।
আমরা বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখতে পেলাম যে, কোশীর বন্যার ফলে ছেলে এবং মেয়ে, উভয়েরই বিয়ের বয়স কমে গেছে। নাবালকদের মধ্যে বিয়ের ঘটনা বেড়েছে ৬.৯ শতাংশ দফা আর নাবালিকাদের মধ্যে বেড়েছে ৩.৬ শতাংশ। আমরা যদি ৩,০৩৩ জন দম্পতির মধ্যেই আমাদের নমুনা সীমিত রাখি তাহলে নাবালিকা বিয়ের ঘটনা বেড়েছে ৭.১ শতাংশ দফা (পি-ভ্যালুঃ ০.১৩), যার প্রসার নাবালকদের মধ্যে বিয়ের ঘটনার সমানই। আমরাও এও দেখতে পাই যে, এই ফলাফল বন্যা হওয়ার ২.৫ বছরের মধ্যে ঘটা বাল্যবিবাহগুলির থেকেই পাওয়া গেছে। যে জেলাগুলিতে বন্যার কারণে সর্বাধিক সম্পত্তি ধ্বংসের ঘটনা ঘটেছে, সেই জেলাগুলিতেই বাল্যবিবাহের উপর বন্যার প্রভাব সবচেয়ে বেশি।
কোশী বন্যা ও বাল্যবিবাহের হারের মধ্যে সম্পর্ককে কি দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায়? এই ধরনের আর্থিক ধাক্কার পর অল্পবয়সী পুত্রসন্তানসহ পরিবারগুলি এই কঠিন সময় পেরনোর জন্য পণের বিনিময়ে ওই ছেলেদের বিয়ে দিয়ে দিতে পারে। বিশেষত, বরাবরই দরিদ্র পরিবারগুলির মধ্যেই এই জাতীয় প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা বেশি। যেহেতু, পুরুষরা সাধারণত নিজেদের চেয়ে কমবয়সী মহিলাদেরই বিয়ে করে, তার ফলে আরো বেশি সংখ্যক মেয়ের আরো কম বয়সে বিয়ে হয়; পুরুষদের বিয়ের বয়স কমেছে প্রায় দশ মাস আর মেয়েদের ক্ষেত্রে ৪.৫ মাস। বলাই বাহুল্য, পুরুষের বিয়ের বয়স ও মহিলাদের বিয়ের বয়স সমান হারে নাও কমতে পারে। যেহেতু ছেলেদের ক্ষেত্রে বিয়ের বয়সের সীমা যতটা কমেছে তার তুলনায় মেয়েদের বিয়ের বয়স খুব বেশি কমে নি, তাই আমরা আশা করতে পারি যে, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বয়সের পার্থক্য কমবে এবং তা অবশ্যই কমে। তবে, যেহেতু আমাদের কাছে যে সীমিতসংখ্যক নমুনায় ছেলে ও মেয়ে, উভয়েরই তথ্য আছে কেবলমাত্র তার উপর ভিত্তি করেই এর বিচার করতে পেরেছি, তাই বন্যার এই নির্দিষ্ট প্রভাবটি ঠিকভাবে খতিয়ে দেখা যায় নি। যেহেতু, বন্যার প্রভাব পুরুষদের উপরেই বেশি পড়ে, তাই সম্ভবত এই তথ্যটি বরের পরিবারের উত্তরের উপর ভিত্তি করে পাওয়া গেছে।
এই ব্যাখ্যার সমর্থনে আমরা দেখতে পাই যে, কোশী বন্যার এই জাতীয় অভিঘাত হিন্দু পরিবারগুলির উপরেই বেশি। এর কারণ হল, বন্যার দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা ভূমিহীন পরিবারগুলির সর্বাধিক এবং হিন্দুদের মধ্যেই পণপ্রথার প্রাদুর্ভাব বেশি। আমরা আরো প্রমাণ করেছি যে, বন্যার কারণে বিদ্যালয়ের পরিকাঠামো এবং ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি হওয়াতে কোন রদবদল হয় নি। এর থেকে বোঝা যায় যে, স্কুলছুটের কারণে বাল্যবিবাহ বেড়েছে এমনটাও নয়। কোশী বন্যার ফলে লিঙ্গের আনুপাতিক হারের ভারসাম্য কমে যাওয়ার প্রমাণ আমাদের হাতে আসে নি। তার ফলে, এই জাতীয় পরিবর্তনের কারণ হিসাবে জনপরিসংখ্যানগত বা ডেমোগ্রাফিক পরিবর্তনকে আমরা বিবেচনায় আনি নি। বিয়ের পরে বাসাবদল কাছাকাছির মধ্যে, সাধারণত, একই জেলাতে হয়। তা সত্ত্বেও, অনেক সময়ই দেখা গেছে যে, কোশী অঞ্চলের (অ-কোশী) মেয়েরা কোশীর সীমান্তবর্তী অ-কোশী (কোশী) অঞ্চলের অধিবাসী পুরুষদের বিয়ে করেছে।
এই ফলাফলগুলি থেকে বোঝা যায় যে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ অর্থনীতিকে মোকাবিলা করতে বাল্যবিবাহকে একটি চতুর পন্থা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সেই দিক থেকে দেখলে, যদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা যাদের হাতে সেই বাবামায়েরা এই জাতীয় বিবাহের দীর্ঘপ্রসারী ফলাফলের কথা না ভাবেন, তাহলে বাল্যবিবাহের ফলে মঙ্গলের চেয়ে অমঙ্গলই বেশি হয়। যেমন, কোশীর বন্যার কারণে বিয়ে হয়েছে এমন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের পড়াশুনো শেষ করার হার কমে গেছে। আমরা আর্থিক দিক থেকে মহিলাদের ভবিষ্যতের উপর কোশী বন্যার নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়টিও নথিভুক্ত করেছি। দেখা গেছে, মহিলাদের কাজ করার সম্ভাবনাই শুধু কমে যায় নি, তাঁদের হাতে নিজস্ব টাকা থাকার সম্ভাবনাও কম। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, উৎপাদনমূলক শ্রমে যোগদান এবং দক্ষতা, জ্ঞানের মত নানা মানব সম্পদের উপর তাঁদের সন্তানদের অধিকার ইত্যাদি সহ নারীকল্যাণের নানা দিক যে বাল্যবিবাহের ফলে ক্রমশ গুরুত্ব হারাতে থাকে সেই বিষয়টি নিয়ে নানা প্রবন্ধ ও বইপত্র লেখা হয়েছে। এই কোশী বন্যার ফলে আর্থিক দিক থেকে মহিলাদের পিছিয়ে পড়ার নকশাটি এই রচনাগুলিরই পরিপূরক। তাই অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির ধাক্কা সামলাতে কম বয়সে ছেলেমেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া বাবামায়ের কাছে একটি সন্তোষজনক সমাধান মনে হলেও, নাবালক দম্পতি, বিশেষত স্ত্রীর উপর, এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঠিক কোন কোন উপায়ে বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানটির মধ্যে দিয়ে মেয়েদের জীবন ও ভবিষ্যতের উপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে এই গবেষনাপত্রটি সেগুলিকেই দৃষ্টিগোচরে আনার চেষ্টা করেছে। যে নীতিগুলি বাল্যবিবাহকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের থেকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখে, বিশেষত এমন একটা অবস্থায় যখন পুর্ব ভারতে বারংবার বন্যাক্রান্ত হচ্ছে, সেই নীতিগুলিকে সমালোচকের দৃষ্টি দিয়ে দেখার সময় এসেছে। এর পাশাপাশি, কোভিড-19 অতিমারীর কারণে রোজগারের রাস্তা হারিয়ে বহু অল্পবয়সী ছেলেমেয়েই বিয়ে করতে বাধ্য হবে, বিশেষভাবে যারা দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। এর মধ্যেই নানা সমীক্ষা থেকে জানা গেছে যে গত কয়েক মাসে বাল্যবিবাহের হার অনেকটাই বেড়েছে। নীতিনির্ধারণের দিক থেকে ভাবলে, দুর্যোগ থেকে সুরক্ষার জন্য বিমা, কম সুদে ঋণ ইত্যাদির ব্যবস্থা যদি দ্রুত ও সহজলভ্য করা যায় তাহলে দুর্গত পরিবারগুলি বিয়ের থেকে পাওয়া পণের টাকার বদলে অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলিয়ে জীবনধারণের অন্য উপায় পাবে। এই ভাবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও বাল্যবিবাহের মধ্যে যে সংযোগ তা ক্রমশ দুর্বল হয়ে যেতে থাকবে।