কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে প্রতিযোগিতা নয়, প্রয়োজন সমন্বয়

24/05/2021
IiT English Page

বহুস্তরীয় শাসনব্যবস্থা ও জটিল ক্ষমতাবন্টনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে অনেক সময়ই আপৎকালীন অবস্থায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য অনুপযুক্ত বলে মনে করা হয়। বিভিন্ন সময়ে ঘটা অর্থনৈতিক সঙ্কট, বিশ্বযুদ্ধ বা মহামারীর মত বিপদের সময়েই বোঝা গেছেযে যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা যে প্রায় বাতিল হওয়ার মুখে। এই ধরনের সঙ্কটের মুহূর্তে যোগাযোগ ও সমন্বয়ের ক্ষেত্রে এমন সমস্ত সমস্যা দেখা দেয় যেগুলিকে সাংবিধানিক পরিকল্পনা আগে থেকে অনুমান করতে পারে না এবং আপৎকালীন শক্তিপ্রয়োগকে বৈধতা দেয় যা ক্ষমতার পূর্বনির্ধারিত বন্টনকে অবজ্ঞা করে। ১৯৩০-এর দশকে ইউএস সম্বন্ধে হ্যারল্ড লোকি যেমন বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার কাল শেষ হয়ে গেছে… একটি সম্পূর্ণ কেন্দ্রীভূত প্রণালীই একমাত্র সফলভাবে এই নতুন সময়ের সমস্যাগুলির মুখোমুখি হতে পারবে”। অথবা, সম্প্রতি রোজেল এবং উইলকক্সের ভাষায়, “রোগসংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য দরকার ব্যাপকহারে দেশের ভিতরে যোগাযোগ ও সমন্বয়সাধনের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা”।

কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যের সম্পর্কের প্রেক্ষিতে বিচার করলে দেখা যাবে যে, কোভিড-19 অতিমারী আসলে একটি দুই অঙ্কের নাটক। তাদের কেন্দ্রীভূত ও বিকেন্দ্রীভূত প্রবণতাসহ, এই দুটি অঙ্কই কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্কের গুরুতর পরিকাঠামোগত দুর্বলতাকে সামনে এনে দিয়েছে। ভারতের শাসনপ্রণালীকে যে বাধাবিপত্তির মুখোমুখি হয় তার মধ্যেই আসলে এই দুর্বলতার অধিষ্ঠান। সমালোচনার দোলক কেন্দ্রসরকারের এক তরফা হস্তক্ষেপের আধিক্য থেকে এক গরহাজির কেন্দ্রসরকারের দিকে ঘুরে গেছে। কিন্তু এই দুই ধরনের সমালোচনার ধারাই যা ভুলে যায় তা হল,‌ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীকরণ বা বিকেন্দ্রীকরণের মাত্রা নিয়ে বিতর্ক ছাড়াও, কেন্দ্র-রাজ্যের পারস্পরিক ফলপ্রসূ সমন্বয়ের অভাবও আছে। এই সমন্বয়ের অভাবই অতিমারীর দুই পর্বেই গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

প্রথম ঢেউ-এর সময় কেন্দ্রনির্ভর ব্যবস্থা
ভারতের কোভিড-19 অতিমারী মোকাবিলার ব্যবস্থা যে সম্পূর্ণ কেন্দ্রনির্ভর হবে তা অনেকটাই আগে থেকে অনুমান করা যাচ্ছিল। ২০১৯ সালের নির্বাচনের পর পরই নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে পরিচালিত বিজেপি সরকার তার রাজনৈতিক আধিপত্য মজবুত করার সঙ্গে সঙ্গে, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ঘিরে তাদের কেন্দ্রীভূত “এক দেশ” পন্থাকে তীব্রতর করে তুলছিল।   

অতিমারীর প্রথম মাসগুলিতে, ব্রাজিল এবং ইউনাটেড স্টেটের মত অন্যান্য বড় আকারের যুক্তরাষ্ট্রীয়ভাবে চালিত রাষ্ট্রগুলির জনতোষিণী নেতাদের বিপরীতে গিয়ে, মোদী রাতারাতি সারা দেশে যে লকডাউন চাপিয়ে দেন তা ছিল পৃথিবীর কঠোরতম লকডাউনের মধ্যে একটি। নিজের নিজের রাজ্যের অতিমারী অবস্থার সঙ্গে লড়াই করার দায়িত্ত্ব রাজ্যগুলির হাতে তুলে দেওয়ার বদলে, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দ্রুত ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এবং তার সমস্ত কৃতিত্বই কেন্দ্রের বলে তিনি দাবী করতে চেয়েছেন। ভোটারদের সঙ্গে আবেগপূর্ণ সম্পর্কটি যেকোন পরিস্থিতিতেই তিনি বজায় রাখতে পারেন। লকডাউনের কারণে ভোটাররা অসম্ভব কষ্টের মধ্যে দিয়ে গেলেও তিনি তাঁর এই ক্ষমতা নিয়ে সম্পূর্ণ সচেতন বলেই এই রাস্তা নিতে পেরেছেন। চার বছর আগে নোটবন্দীর সময়ই একই ঘটনা ঘটেছিল। 

ভারতে অতিমারী নিয়ন্ত্রণের জন্য কোভিড-19 সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার হার এবং প্রতিটি রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার সামর্থ্যের মধ্যে পার্থক্যের কথা মাথায় না রেখে, সবার জন্য একটিই পন্থা অবলম্বন করা হয়। অনেকেই এই  অতিরিক্ত কেন্দ্রনির্ভর প্রতিক্রিয়ার তীব্র সমালোচনা করেছেন। এছাড়াও, এই রকম কঠোর লকডাউনের যে প্রভাব সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে দেখা যায় তাকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে কারোরই আছে কিনা তারও কঠিন পরীক্ষা হয়েছে। বিশেষ করে, ভারতের সুবিশাল অসংগঠিত শ্রমিকগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে এই কথা আরো বেশি প্রযোজ্য। 

পূর্বতন ইউপিএ সরকারের আমলে, রাজ্যগুলি নিজেরাই আঞ্চলিক স্তরে নানা কল্যাণমূলক প্রকল্পের আয়োজন করতে পারত। কিন্তু কোভিডের আগে থেকে কেন্দ্রীকরণের যে হাওয়া উঠেছে, তার ফলে রাজ্যগুলির রাজস্ব এবং নীতিগত স্বায়ত্তশাসনের অধিকার দুর্বল হয়ে পড়েছে। ডেকোভইন্ডিয়াঃ ডিসেন্ট্রালাজেশান অ্যান্ড কোভিড-19 ইন ইন্ডিয়া নামের প্রকল্পের অঙ্গ হিসাবে পরিচালিত একটি যুগ্ম গবেষণা বিভিন্ন রাজ্যসরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক সুরক্ষার জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলির মধ্যে পার্থক্যকে শ্রেণিবদ্ধ করার চেষ্টা করেছে। 

জনসাধারণের বিভিন্ন অংশের জন্য জরুরি সহায়তা দানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অসংখ্য নীতির ঘোষণা করা হয়েছে এবং প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেই প্রতিশ্রুতিগুলি অনুযায়ী অতিরিক্ত বরাদ্দ সহায়তার রাজ্য বিশেষে পার্থক্য আছে। রাজ্যগুলি অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে অতিমারী মোকাবিলা করেছেন বলে রাজ্যসরকার দাবী করলেও, আসলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া সামর্থ্য ছিল সীমিত। তা সত্ত্বেও, জনস্বাস্থ্য পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কার্যকরভাবে ও দ্রুত সাহায্যের যোগান দেওয়ার জন্য আঞ্চলিক প্রেক্ষিতকে গুরুত্ব দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন (প্রেরণা সিং দেখিয়েছেন যে, কেরালার ক্ষেত্রে এটাই ঘটেছিল)।       

এছাড়াও, দেশজোড়া লকডাউনের ঠিক পরেই, বিশাল সংখ্যক পরিযায়ী শ্রমিক আকস্মিকভাবে ভিনরাজ্য থেকে নিজের রাজ্যের দিকে রওনা হন। এই ঘটনার থেকে ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় পরিযায়ী শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার জন্য শাসনব্যবস্থার কাঠামোর মধ্যে উল্লম্ব বা আনুভূমিক সমন্বয়ের অভাব ঠিক কতটা তা স্পষ্ট হয়। এই যোগাযোগের অভাবও আঞ্চলিক প্রেক্ষিতের মতই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।

দ্বিতীয় ঢেউঃ রাজ্যগুলি সামনে এলো
ভারতে, কোভিড-19 অতিমারীর প্রথম ঢেউ-এর থেকেও তীব্রতর দ্বিতীয় ঢেউ-এর সময় কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়ায় একটি লক্ষণীয় বদল দেখা গেছে। তা দেখা গেছে বিশেষ করে, কেন্দ্রের নিষ্ক্রিয়তা এবং ভ্যাক্সিনের যোগাড় ও যোগানের মত অতিমারীর সঙ্গে জড়িত প্রধান ক্ষেত্রগুলির দায়িত্ত্বের বিকেন্দ্রীকরণের মধ্যে দিয়ে। এই দ্বিতীয় ঢেউ-এর সময় কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে প্রথম ঢেউ-এর সময় ব্রাজিল বা ইউনাইটেড স্টেটসের প্রতিক্রিয়ার তুলনা করা যেতে পারে। 

এই দ্বিতীয় ঢেউ-এর সময় গোটা দেশে লকডাউন ডাকার বদলে স্থানীয়ভাবে পর পর লকডাউন বা কারফিউ জারি করা হয়েছে। কেন্দ্রকে “দরকারের সময় উধাও” বলে দোষারোপ করা হয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হতে চলেছে প্রমাণ পেয়েও সভা বা জমায়েতের উপর কোনো নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় নি। সংকটের সময় কেন্দ্র আন্তঃরাজ্য অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাপনার তদারকির দায়িত্ব আদালত আর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দলবদ্ধ হওয়া নাগরিক স্বেচ্ছাকর্মীদের উপর ছেড়ে দিয়েছে। ভ্যাক্সিনের ঘাটতির কারণে অনেক রাজ্যসরকারের থেকে তীব্র সমালোচনা আসার পর রাজ্যের পঁয়তাল্লিশ বছরের কম বয়সীদের জন্য ভ্যাক্সিন জোগাড় ও যোগানের দায়িত্বের বিকেন্দ্রীকরণ করে রাজ্যগুলিকে দিয়ে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ঢেউ-এর সময়, যাবতীয় অব্যবস্থাপনার দায়িত্ব কেন্দ্র রাজ্যগুলির উপর চাপিয়ে দেয়। কেন্দ্রের প্রতি রাজ্য সরকারের ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত অনুগামীত্ব যত বাড়ে, রাষ্ট্র-রাজ্য দ্বন্দ্বও ততই কমে আসতে থাকে।

হঠাৎ করে ভ্যাক্সিন সংগ্রহ আর বিতরণের ব্যবস্থাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বসে যে এপ্রিলের শেষের দিকে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তারা ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসকে হারাতে পারলে রাজ্যে বিনামূল্যে ভ্যাক্সিন বিতরণ করবে। অন্যভাবে বলতে গেলে, বিজেপি ইঙ্গিত করে যে পশিমবঙ্গের সমস্ত নাগরিকের হাতে ভ্যাক্সিন পৌঁছতে হলে অনুগামী হিসাবে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের জোট বাঁধা – বা দলের ভাষায় “জোড়া ইঞ্জিনে রাজ্যশাসন”- অত্যন্ত প্রয়োজন। 


যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার ডাইনামিকসের শ্রেণিবিন্যাস
হেগেল আর শ্ন্যাবেলের সম্প্রসারিত একটি টাইপোলজি ব্যবহার করে, ইউরোপীয় যুক্তরাষ্ট্র কোভিড-19 সম্বন্ধে কি ভাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় উপায়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তার শ্রেণিবিন্যাস করে আমরা বলতে পারি যে, ভারত প্রথম ঢেউ-এর সময়কার একতরফা কেন্দ্রীভূত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অবস্থা থেকে দ্বিতীয় ঢেউ-এর সময়, শুধুমাত্র নিষ্ক্রিয়তার কারণে, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রায় একতরফা বিকেন্দ্রীভূত অবস্থায় পৌঁছেছে।    

হেগেল এবং শ্ন্যাবেলের মতে, একতরফা প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে এই দুই অবস্থার (কেন্দ্রীভূত বা বিকেন্দ্রীভূত) সমস্যা হল, এর থেকে “অনুকরণ, দ্বন্দ্ব ও সঙ্ঘর্ষ” তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়। একতরফা কেন্দ্রীকরণ বা বিকেন্দ্রীকরণের বদলে, ভারতের স্পষ্টতই যা প্রয়োজন তা হল, আরো বেশি পরমাণে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় যাতে জাতীয় স্তরে কর্মপন্থা সংক্রান্ত একটি পরিকাঠামো তৈরি হতে পারে। এই পরিকাঠামো জাতীয় স্তরের হলেও এতে পরিস্থিতি অনুযায়ী আঞ্চলিকভাবে যে সমস্ত  উদ্ভাবন হচ্ছে ও পরিবর্তন আসছে সেগুলিকে জায়গা দিতে  হবে। 

কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সমন্বয় হলে অন্ততপক্ষে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে এবং রাজ্যে রাজ্যেও একটা ধরনের যোগাযোগ তৈরি হবে, তথ্যের আদান প্রদান ও আলোচনা শুরু হবে। ভারতের মৃতপ্রায় ইন্টার-স্টেট কাউন্সিল, নীতি আয়োগ (প্ল্যানিং কমিশন বাতিল করার পর “সমষ্টিমূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা” উন্নত করাই যার উদ্দেশ্য ছিল) অথবা আরো অসংগঠিত সংস্থার মাধ্যমেই আলোচনা ও আদান প্রদান ঘটতে পারে।

একটি আদর্শ পরিস্থিতিতে, এই সমন্বয়ের অর্থ হত, কেন্দ্রই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং সহায়তা ও সংস্থান সংগ্রহের বন্দোবস্তের প্রক্রিয়াটির পরিচালনা করত। যে বিষয়গুলির ক্ষেত্রে কেন্দ্রের তদারকি প্রয়োজন সেগুলির জন্য নীচের স্তর থেকে উপরের স্তরে পাঠানো তথ্যগুলিকে ব্যবহার করেই এই পরিচালনা প্রক্রিয়াটি ঘটত যাতে যৌথভাবে কাজ করার সমস্যাগুলি এড়ানো যায়। একই সঙ্গে, রাজ্যের হাতে নির্ধারিত সিদ্ধান্ত নেওয়া ও কর্মপন্থাগুলিকে স্থানীয় প্রয়োজন অনুযায়ী বদলে নেওয়ার ক্ষমতা থাকতে হবে। যেমন, কল্যাণমূলক কর্মসূচীগুলির পরিকল্পনা আর সেগুলি অঞ্চলবিশেষে কিভাবে কাজ করবে তা স্থির করার ক্ষমতার কথা বলা যায়।

কেন্দ্রসরকারের দায়িত্ব সামাজিক এবং অর্থনৈতিক জীবনের সেই ক্ষেত্রগুলির জন্য নীতি ও কর্মপন্থার সমন্বয় করা যেগুলি শুধুমাত্র রাজ্যসরকারের উদ্যোগে ঘটলে ব্যবস্থাপনার “মান নেমে যাওয়ার” সম্ভবনা আছে। ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় এমনভাবেই কেন্দ্রসরকারের দায়িত্ব নির্ধারণ করা হয়েছিল। কোভিড-19 অতিমারীর দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে এবং ভবিষ্যতে যদি এর প্রভাব আবার হঠাৎ বেড়ে যায় তাহলে তার মুখোমুখি হওয়ার ক্ষমতা তৈরি করার জন্য এই সংবিধানের মূল সূত্রে আবার ফিরে যেতে হবে। 

লুইস টিলিন

Author

লুইস টিলিন লন্ডনের কিংস কলেজের ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউটে রাজনীতির অধ্যাপক।

(Bangla Translation by Sritama Halder)
অনুবাদঃ শ্রীতমা হালদার