দস্তয়েভস্কির উপন্যাস নোটস ফ্রম দি আন্ডারগ্রাউন্ড (১৮৬৪) উপন্যাসের একটি অবিস্মরণীয় অংশে উপন্যাসের মূল চরিত্র (একজন সাধারণ কেরানী) এক উচ্চপদস্থ কর্মচারীর হাতে ক্রমাগত অবমানব হিসেবে গণ্য হতে হতে, “এক অদৃশ্য সত্তা” হিসেবে পরিগণিত হতে হতে, স্থির করেন যে, তিনি এর প্রতিশোধ নেবেন। মাসের পর মাস ধরে ওই কর্মচারীর উপর কিভাবে নিখুঁত প্রতিশোধ নেওয়া যায়, তা ভাবতে ভাবতে অবশেষে তিনি “সবচেয়ে চমকপ্রদ” উপায়টি আবিষ্কার করেনঃ নেভস্কি প্রসপেক্ট নামে সেন্ট পিটারসবার্গের একটি মূল সড়কে, যেখানে তিনি ওই উচ্চপদস্থ কর্মচারীকে বহুবার দেখেছেন এবং পরম শ্রদ্ধাভরে তাঁকে রাস্তা ছেড়ে দিয়েছেন, সেই সড়কেই তিনি তাঁর মোকাবিলা করবেন। “কি হবে,” তিনি চিন্তা করে দেখলেন, “যদি ওনার সঙ্গে আমার দেখা হয় আর… আমি যদি পথ ছাড়ি?” প্রতিশোধের এই উদ্ধত কল্পনা তাঁকে উত্তেজিত করতে শুরু করে ও তিনি “ক্রমান্বয়ে ও স্পষ্টভাবে” তা নিয়ে স্বপ্ন দেখতে থাকেন। এই নজিরটিতে, জনসাধারণের ব্যবহারের রাস্তায়, যেখানে অভিজাত সম্প্রদায়ের হাতে ওই কেরানীর ও তাঁর সামাজিক শ্রেণীর সমস্ত সদস্যের নিজেদের জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ অস্বীকৃত হয়েছে, সেখানে তাঁর উপস্থিতিই তাঁর প্রতিবাদ। সাধারণ জনপথে তাঁর অংশগ্রহণ ঘোষণা করার মধ্যে দিয়ে তিনি কর্তৃপক্ষকে প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করাবেন এবং তার ফলে, সে সড়ক এত বছর ধরে একটি অকিঞ্চিৎকর পরিসর হয়েই রয়ে গেছে, তা, অতি ক্ষণস্থায়ীভাবে হলেও, একটি রাজনৈতিক পরিসরে পরিণত হবে। মার্ক্সবাদী দার্শনিক হেনরি লেফেবভ্রের ভাষায় বলতে গেলে, কোনও পরিসর যে কাজের জন্য নির্মিত হয়েছে, তার বাইরে গিয়ে তাকে অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে এই ধরনের “আত্মীকরণ” গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার কেন্দ্র। লেফেবভ্রে বলেন যে, কোনও পরিসর, বিশেষত তার সামাজিক নির্মাণ, যে ভাবে আমরা আধুনিক সমাজের পরিবর্তনশীল সামাজিক সম্পর্কগুলিকে পাঠ করি, তার কেন্দ্রীয় বিষয় হয়ে ওঠা উচিত।
জনপথে দাঁড়িয়ে ক্ষমতার প্রতিষ্ঠিত সম্পর্কের স্থিতিশীলতাকে নড়িয়ে দেওয়ার ধারণাটি দস্তয়েভস্কির নায়কের কাছে আকস্মিকভাবে এলেও, ভারতীয় উপমহাদেশে একই রাজনৈতিক বিবৃতি সম্ভব করার জন্য দশকের পর দশক, এমনকি হয়ত বহু শত বছরের লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র বিদ্রোহের প্রয়োজন। শত শত বছর ধরে জাতপাতের জাঁতাকলে পিষে যাওয়ার পর, উনবিংশ ও বিংশ শতাব্দী ছিল এমন দুই সময়কাল, যখন স্থান-সংক্রান্ত চর্চা ও সামাজিক সম্পর্কের ভিন্ন ভিন্ন রূপের পুনরাঙ্কন হয়েছে। নাগরিকদের অংশগ্রহণে অভিনয় এবং রামলীলার মত অনুষ্ঠানে জণগনের অংশ নেওয়া উত্তর ভারতের জাতিভেদ অধ্যুষিত সম্প্রদায়গুলির সার্বজনীন অভিব্যক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার পাশাপাশি, মাদ্রাজের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে ব্যক্তিগত আসরের থেকে বাইরে বের করে সমুদ্র সৈকতে নিয়ে আসার পদক্ষেপটি, বিংশ শতাব্দীর প্রথমভাগে তামিলনাড়ুর সাম্রাজ্যবাদ ও জাতিভেদবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
কেরালাতে, আজও যেখানে বর্ণভিত্তিক পবিত্রতা ও অপবিত্রতা সংক্রান্ত নিয়মকানুন অত্যন্ত কঠোর (এই অঞ্চলে কিছু জাতিকে অস্পৃশ্য হওয়ার পাশাপাশি “অদৃশ্য” অর্থাৎ দেখা যাবে না, ও “অনধিগম্য” অর্থাৎ কাছে যাওয়া যাবে না – এই মর্যাদাও দিয়ে রেখেছে) সেখানে, উনবিংশ শতাব্দীতে যখন এই নিয়মগুলি ভাঙতে শুরু করে, তখন রাস্তাঘাট, কাবালা (চৌরাস্তা বা মোড়) এবং বাজারের মত পরিসর তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার কেন্দ্র হয়ে ওঠে। এইভাবে, যাকে ইয়রগন হাবারমাস আধুনিক জনপরিসর আখ্যা দিয়েছেন, তার প্রাথমিক চিহ্নের নির্মাণ হতে শুরু করে। ইতিমধ্যে, এই শতকের শুরুতেই কেরালার সাহিত্য ও সাংবাদিকতার মত বুদ্ধিগত পরিসরগুলি এমন এক স্বতন্ত্র বৈশিষ্টপূর্ণ অসাম্প্রদায়িক রূপ ধারণ করতে শুরু করে, প্রগতিশীল হলেও যার শিকড় ছিল আঞ্চলিক পরিচয়ে প্রোথিত। শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি এবং ধর্মবিশ্বাসের ক্ষেত্রে যে সুবিশাল অগ্রগতি হয়েছিল তা প্রচুর মনোযোগ পেলেও, একই সময়ে যে নির্দিষ্ট পরিসরগত পরিবর্তন কেরালার নতুন সোশিওস্প্যাশিয়াল সম্পর্ককে রূপদান করছিল, তা নিয়ে খুব কমই আলোচনা হয়েছে।
লেফেবভ্রে যেমন বলেন, একটি নতুন সামাজিক শৃঙ্খলার উত্থানের অর্থ একটি নতুন স্থানিকতারও উত্থান। চায়ের দোকান, পড়ার ঘর, পাঠাগারের মত সামাজিক পরিসর যেমন এক দিকে উঠে আসছিল, তেমনই অন্যদিকে রাস্তা, সরকারী ও ধর্মীয় সংস্থাকে কি ভাবে ব্যবহার করা হবে তার নিয়মগুলি নতুনভাবে আলোচিত হতে শুরু করে। উনবিংশ শতকে ত্রিবাঙ্কুরে সংঘটিত চান্নার অভ্যুত্থানের মত আন্দোলনের হাত ধরে এই প্রচেষ্টাগুলি এক নতুন রূপ পেতে শুরু করে। ত্রিবাঙ্কুরে জাতিভেদ প্রথা দ্বারা নিপীড়িত যে সম্প্রদায়গুলি সম্প্রতি খৃস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছিল, সেগুলির মহিলাদের উচ্চবর্ণের হিন্দু পুরুষরা রাস্তার জনসমক্ষে অপমান করে ও তাঁদের বক্ষাবরণী ছিঁড়ে দেয়। এই ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যাপকহারে প্রতিবাদ শুরু হয়। যদিও উচ্চবর্ণের হিন্দুরা ধর্মান্তরীকরণের বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হয়ে যান, কিন্তু তা যে জনপথ ও বাজারের মত পরিসরে তাঁদের কর্তৃত্বকে প্রশ্ন করতে শুরু করতে পারে, তা বুঝতে পেরে তাঁরা অনেক বেশি বিহ্বল হয়ে পড়েন। মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির গভর্নর এবং ত্রিবাঙ্কুরের খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকদের হস্তক্ষেপের পর, রাজা উত্রম তিরুন্নাল মার্তণ্ড বর্মা ১৮৫৯ সালে ঘোষণা করেন যে, “নিজেদের মর্যাদা অনুযায়ী, বক্ষ আবরণের জন্য যে কোন পোষাক পরার” স্বাধীনতা চান্নার মহিলাদের আছে, তবে সেই পোষাক যেন উচ্চবর্ণের মহিলাদের পরিচ্ছদের মত না হয়।

একটি শোভাযাত্রায় মানুষের ভিড়। নিজস্ব চিত্র, ২০১৭।
পরের অর্ধ শতাব্দী ধরে, কেরালাতে সড়ক এমন এক পরিসর হিসেবে উঠে আসবে, যেখানে রাজনৈতিক চেতনা ও সামাজিক ন্যায়ের জন্য আন্দোলনের রূপ নির্মিত হবে। সার্বজনীন পরিসরের উপর এমনভাবে মুক্ত স্থানিক অধিকারের দাবি চূড়ান্ত বিন্দুতে পৌঁছোয় ১৮৯৩ সালে, আইয়ানকালির বিখ্যাত গরুর গাড়ি আন্দোলনের হাত ধরে। যে জনপথে তাঁর জাতির মানুষদের হাঁটা পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিল, সেই পথেই উচ্চবর্ণের পোষাক ও পাগড়ি – যা কিনা উচ্চবর্ণ পরিচয়ের চিহ্নক পরিচ্ছদ - পরনে আইয়ানকালির উপস্থিতিই ছিল তাঁর একটি প্রতিবাদের মাধ্যম। ভাইকম সত্যাগ্রহের মত আন্দোলন, যার উদ্দেশ্য ছিল নিম্নবর্ণের সম্প্রদায়ের সদস্যদের ভাইকমের মন্দিরের কাছের রাস্তায় হাঁটার অধিকার আদায় করা, এই জাতীয় প্রচেষ্টাকে আরও উদ্দীপিত করেছিল।
১৯২০ আর ১৯৩০-এর দশকের জাতীয়তাবাদী ও সমাজতান্ত্রিক মতবাদের ঢেউয়ের আঘাতে জনপথগুলি সাম্রাজ্যবাদ ও শ্রেণী-বিরোধী আন্দোলনের পরিসরে পরিণত হয়। খ্যাতনামা ব্যক্তিদের (মূলত পুরুষদের) স্মৃতিকথা ও জীবনীতেও এই পরিবর্তনের প্রতিফলন দেখা যেতে শুরু করে। এছাড়াও খুবই সাধারণ ও দৈনন্দিন ঘটনার মধ্যে দিয়ে তাঁদের বিশ্বদর্শন ও রাজনৈতিক অবস্থানের রূপদানের ক্ষেত্রে জনপথের যে ভূমিকা ছিল, তা গুরুত্ব পেতে শুরু করে। যেমন, কেরালার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ও কম্যুনিস্ট নেতা ইএমএস নাম্বুদিরিপ্পাদ তাঁর স্মৃতিকথায় লেখেন যে, ত্রিশূরের পথে পথে হাঁটা ও কারুপ্পাদান্নাতে এক আত্মীয়ের বাড়ির কাছে সান্ধ্যভ্রমণ তাঁর রাজনৈতিক ভাবধারাতে বদল আনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিয়েছিল। তার কারণ, তিনি এই ভ্রমণগুলির সময় বিভিন্ন জাতির মানুষদের সঙ্গে দেখা হওয়া ও তাঁদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার সুযোগ পেতেন। অনেক বছর পরে তিনি বলেছিলেন যে, এই প্রাত্যাহিক কথোপকথনের অভিজ্ঞতাগুলি তাঁর জীবনের উপর “এক গভীর প্রভাব” ফেলেছিল।

তিরুবন্তপুরমের মানভিয়াম ভিধিতে একটি গানের অনুষ্ঠান। নিজস্ব চিত্র।
বিংশ শতাব্দীতে কেরালাতে যখন আরও অন্যান্য ধর্মনিরপেক্ষ পরিসর উঠে আসতে থাকে, তখনও এই রাজ্যের জনচৈতন্যের সর্বাপেক্ষা দৃশ্যমান ও প্রাণবন্ত রূপটি জনপথেই প্রকাশিত হয়। সড়কগুলিই সেই পন্থায় পরিণত হয়, যেখানে কিছু আধিপত্যকে প্রশ্ন করার পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং তার পাশাপাশি, লিঙ্গ সংক্রান্ত আধিপত্যের মত কিছু বিষয়ের বাস্তবায়ন হয়। কেরালার পথে পথে হেঁটে চলা নানা শোভাযাত্রা (বিভিন্ন ধর্মের) থেকে শুরু করে তিরুবন্তপুরমের সচিবালয়ের বাইরের ফুটপাথ দখল করে বসে থাকা প্রতিবাদী জনতা, রাজনৈতিক, ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ, দাবি-দাওয়া এবং পথকে পুনর্দখল করা আজকের কেরালার একটি বৈশিষ্ট্য। সাম্প্রতিক দশকগুলিতে দখা গেছে যে জনপরিসরগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও আর্থিক চাপ দেওয়া হচ্ছে। সেই উদ্দেশ্যে সরকারী জমির বেসরকারীকরণ এবং কোচি ও তিরুবন্তপুরমের মত শহরগুলির নাগরিক ভূচিত্রের পুনররুন্নয়নের মত ঘটছে। তা স্বত্বেও, যে পরিসরে দাঁড়িয়ে স্থিতাবস্থাকে প্রশ্ন করতে পারা যায়, এমন কিছু পরিসরও উঠে এসেছে।
এ রকম একটি উদাহরণ হল, মানভিয়াম বিধি – তিরুবন্তপুরমের ঠিক মাঝখানের একটি সড়ক – যেখানে এক দশকের বেশি সময় ধরে, কিছু দিন অন্তর অন্তর শিল্প ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোকসঙ্গীত এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এর উদ্যোক্তাদের মধ্যে একজন একবার চা খাওয়ার সময় আমাকে বলেছিলেন যে, কোনও রকম রাজনৈতিক বা ধর্মীয় সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই ভিধি কাজ করে এবং সেটাই এর শক্তির উৎস। যে মুহূর্ত থেকে মানভিয়াম ভিধি জনগণের মনোযোগ আকর্ষণ করতে শুরু করে, সেই মুহূর্ত থেকেই রাজনৈতিক দলগুলি, নিজেদের পতাকা টাঙিয়ে, এই জায়গাটিকে দখল করার চেষ্টা শুরু করে। এই জায়গার পৃষ্ঠপোষকরা তাদের এই প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে রুখে দেন। এই ধরনের সাংস্কৃতিক করিডোরের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেছিলেন বলেই, পূর্বতন লেফট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (এলডিএফ) সরকার তার ২০১৭-১৮ সালের বাজেটে মানভিয়াম ভিধির উন্নয়নের জন্য পঞ্চাশ লাখ টাকা বরাদ্দ করেন এবং, স্মার্ট সিটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে, আরও উন্নয়নের পরিকল্পনাকে অনুমোদন দেওয়া হয়। শবরীমালা আন্দোলনের সময়ও এই রকম সুবিশাল সংখ্যক জনতার হাতে জনপথ দখল হওয়ার ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। এই সময় প্রতিবাদকারীদের পাশাপাশি, রক্ষণশীলদের বক্তব্যের বিরোধিতা করে, কয়েকটি প্রগতিশীল দল এবং সরকারের সহযোগিতায়, রাজ্যের অন্তর্গত জাতীয় সড়কের অংশ ধরে, ৬২০ কিলোমিটার লম্বা একটি মানবশৃঙ্খল রচনা হয়।
এমন একটা সময়ে, যখন দিল্লিতে অধিষ্ঠিত শাসকদল খবর ও সোশ্যাল মিডিয়ার মত ভার্চুয়াল পরিসরকে একচেটিয়াভাবে দখল করে রেখেছে, তখন স্বীকার করা প্রয়োজন যে, ভারতীয় রাজনীতি সর্বদাই স্থানভিত্তিক ছিল। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার অগ্রভাগে ও কেন্দ্রে আছে সড়ক ও জনপথ। দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে রূপদান করে যে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলি তা যে আজও পথকে সাক্ষী করেই ঘটে, শাহিনবাগের দাদীদের অসাধারণ সহনশীলতা, কৃষি আইনের প্রতিবাদে দিল্লির বাইরের প্রধান রাস্তাগুলি দখল করে রাখা কৃষকের দল, এবং অতিমারীর সময় দেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে হাঁটতে বাধ্য হওয়া অগুনতি পরিযায়ী শ্রমিক তারই জীবন্ত উদাহরণ